সেলিম উদ্দিন,খুটাখালী(৩ জুলাই) কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার সর্বোচ্চ রাজস্ব্য আয়ের বাজার খুটাখালীতে সামান্য বৃষ্টির পানিতে জমে থাকে হাঁটু পানি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ সময়ে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হয়।
সোমবার এমন পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, বাজারটির এ বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই! বিশাল রাজস্ব্য আয়ের এ বাজারটির এহেন দূরবস্থার বিষয়গুলো ভূক্তভোগী ব্যক্তিরা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বার বার অবহিত করা সত্বেও কোন অগ্রগতি হয়নি। বাজার উন্নয়নে তেমন কোন পদক্ষেপও চোখে পড়েনা।
জানা গেছে ,সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বাজারের ডাককৃত অর্থের সিংহভাগ টাকা বাজার উন্নয়ন খাতে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও তা এক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা। বর্তমানে খুটাখালী বাজার ও পার্শ্ববর্তী মাইজপাড়া এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে হাফেজখানা সড়কে জলাবদ্ধতায় পানি বাহিত রোগসহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাজারসহ এলাকাবাসী।
এ ছাড়াও এ বিশাল বাজারটিতে দূর-দুরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতাদের পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই এমনকি পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থাও। এ সমস্ত সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা ভোগ করে আসছে।
অন্যদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নির্মিত কসাইখানায় কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না াকায় জবাইকৃত গো-মহিষের জমাট বাধা রক্ত কসাইখানার চারিপাশে পড়ে াকে। এসমস্ত রক্ত পচেঁ দূর্গন্ধের সৃষ্টি করে এলাকায় লোকজনের বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় ওই এলাকার এ নোংরা পরিবেশের কারনে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ অর্থ বছরে আমার পরিকল্পনা রয়েছে বাজারটিকে সৌন্দর্য করে গড়ে তুলার জন্যে এছাড়া খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার জন্য।
খুট্খালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানান, সম্প্রতি বাজারে কিছু কাজ হয়েছে। ড্রেনের প্রসস্থ করতে হবে রাস্তা উঁচু করার জন্যে পরিকল্পনা রয়েছে।
Posted ৭:০০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta