সেলিম উদ্দিন,খুটাখালী(৩ জুন) :: চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে নির্বিচারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাবার ড্যাম ছড়া তীরবর্তী বাসিন্দাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বিলিন হয়ে নি:স্ব হচ্ছে মানুষ। প্রশাসনের নির্বিকার আচরনে বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়স্থল হারিয়েছেন অনেকে। ভাঙ্গনের কবল থেকে ঘর বাড়ি বাঁচাতে প্রতিবাদ করলে বালু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও তাদের ভাড়াটিয়া বাহীনির মারধর ও বাড়ী ঘরে হামলার শিকার হচ্ছেন নিরীহ গ্রামবাসি।
উপজেলার খুটাখালী রাবারড্যাম খাস ঘোনা এলাকা উন্নতমানের বালু সরবরাহের বিশাল খনি হিসাবে পরিচিত বিশাল আকৃতির বালু মহাল। এসব এলাকা ইজারা না হওয়ার সুযোগে কোটি কোটি টাকার বালু লুটে নিচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলো। জোর যার বালু মহাল তার এই নীতিতে ভর করে খুটাখালী রাবার ড্যাম ছড়ায় বালু মহালে চলছে বালু লুটের ঘটনা। নানামুখী ক্ষতির মুখেথাকা ছড়া তীরবর্তী এলাকাবাসির ও জনপ্রতিনিধিদের বাদ প্রতিবাদকে তোয়াক্কা করেননা বালু ব্যবসায়ীরা।
সূত্রে জানা যায়, রাবার ড্যাম খাস ঘোনা বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়নি। বালু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের নেতা কর্মীরা ভাগবাটোয়ারা করে চালাচ্ছে নির্বিচারে বালূ উত্তোলন ও বিক্রি। প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকায় এসব পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু বিক্রি করছে রাবার ড্যাম পয়েন্টের বালু ব্যবসায়ী ও তাদের দোসররা।
এতে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করায় নদীতে বিলিন হচ্ছে রাবার ড্যাম ও তীরবর্তী বাসিন্দাদের বসতবাড়ী, কবরস্থান, মসজিদসহ নানা স্থাপনা। যার কারনে প্রতি বছর কমছে এসব এলাকার আয়তন।
এলাকাবাসির অভিযোগ, প্রশাসন বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিলেও বালু ব্যবসায়ীরা তা সাময়িক বন্ধ রেখে ফের নির্বিচারে বালু উত্তোলনের কারণে ছড়ায় বিলিন হচ্ছে চিংড়িঘের, ঘর বাড়ি, ফসলী জমি ও রাস্তাঘাট। ধসের আশংকা দেখা দিয়েছে ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের খাসঘোনা গ্রাম রক্ষা বাঁধ। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেলেও এক দিনের জন্য গত কয়েক বছরে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
তারা আরো জানান, স্থানীয় জব্বার, ইদ্রীস, বশির, রহিম সিন্ডিকেট তথা বালু লুটেরাদের নিজ নিজ ভাড়াটে বাহিনী রয়েছে। ঐ বাহিনী মূলত বালু সিন্ডিকেটের হয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সোচ্ছার এলাকাবাসীর মুখ বন্ধ করার কাজে ব্যস্ত থাকে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সারা বছর বালু মহালে এলাকায় বিরাজমান গ্র“ফগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত সংঘর্ষ লেগেই থাকে। এ পর্যন্ত বালু মহালে আধিপাত্য বিস্তার ও বিভিন্ন সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।
Posted ১১:২৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta