মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি(২৪ ডিসেম্বর) :: রামু উপজেলার গর্জনিয়ার জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অবশেষে পুলিশ পাহারায় সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে গত একমাস ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তবে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সূত্রপাত হয়নি।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের দুইটি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলে।
এসময় শান্তিরক্ষায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাজি আরিফ উদ্দিন, সহকারি উপপরিদর্শক জুয়েল বড়ূয়া ও মো.কাউছার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের আদলে। ভোটার সংখ্যা ৪৯৫জন থাকলেও কেন্দ্রের আশপাশে ছিল দুহাজার লোকের সমাগম।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় এলাকার কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আবুল কাশেম মো.ফজলুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভোটারেরা। ভোট গণনা শেষে বিকেলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং ও উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু নোমান মো.আবদুল্লাহ।
এসময় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। ঘোষিত ফলাফলে ২১৮ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ ইউনুছ (মোরগ), ২১৭ ভোট পেয়ে মো.আলী (ফুটবল), ২৩৭ ভোট পেয়ে খালেদা হোসাইন (দেওয়াল ঘড়ি) এবং ১৭০ ভোট পেয়ে রওশন আরা (কলসি) জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হামিদুর রহমান বলেন, এই নির্বাচন রামু উপজেলায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহ আলম বলেন তারা নির্বাচনে অনভিজ্ঞ তাই তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক মেম্বার কাশেম নির্বাচনের জন্য অভিজ্ঞ। তাই তাদের অভিজ্ঞ কাছে সামন্য ভোটে হেরেছি।
তরুন সমাজ সেবক আজিজ মওলা বলেন স্কুলের শিক্ষক আমির হোসেনের স্ত্রী নির্বাচন করায় সে এই নির্বাচনে প্রচার-প্রচারনা চালানোর কারণ ও শিক্ষকরা শিক্ষকের পক্ষ অবলম্বন করায় তারা বিজয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য এই নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্যানেল করে বিজয়ীদের পক্ষে কাজ করেন। পরাজিত অপর চার জন আলাদা ভাবে নির্বাচন করলে তাদের সমর্থন করেন আজিজ মওলা।