এম নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(৩০ মে) :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে কুতুবদিয়া দ্বীপের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঐ সময়ে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের হায়দার বাপের পাড়া এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় শারমিন আক্তার (৬) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী জানান, দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে উপকূলীয় বনবিভাগের সৃজিত ঝাউবাগানের দুই শতাধিক ঝাউগাছ ভেঙে পড়েছে। দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মানুষের আবাসস্থলে। কাঁচা ঘরবাড়ি বেশী নষ্ট হয়েছে। বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে উত্তর ধূরুংয়ের পশ্চিম চরধুরুং ও কাইসার পাড়া এলাকা হয়ে সরাসরি সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে বহু বসতঘর। রাত ১০টার পর হতে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। কুতুবদিয়ায় বেশ কিছু মাছ ধরার ট্রালার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুতুবদিয়ায় আংশিক ও সম্পূর্ণ মিলিয়ে ৬ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ক্ষতিগ্রস্তরা সাইক্লোন শেল্টার ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অবস’ান করছেন। তিনি জানান, গড়ে প্রতি পরিবারে ৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হিসাব করলে, কুতুবদিয়ায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষ এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত।
কুতুবদিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল বশর চৌধুরী বলছেন,গত শনিবার দুপুরে উপকূল থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া শতাধিক ফিশিং ট্রলার উপকূলে ফিরে এলেও ৫০ জেলেসহ তিনটি ফিশিং ট্রলার এখনো উপকূলে ফিরে আসেনি।
কুতুবদিয়া দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে উপকূলীয় বনবিভাগের সৃজিত ঝাউবাগানের দুই শতাধিক ঝাউগাছ ভেঙে পড়েছে। দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মানুষের আবাসস্থলে। কাঁচা ঘরবাড়ি বেশী নষ্ট হয়েছে। বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে উত্তর ধূরুংয়ের পশ্চিম চরধুরুং ও কাইসার পাড়া এলাকা হয়ে সরাসরি সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে বহু বসতঘর। রাত ১০টার পর হতে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta