
এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারনা পূর্নিমা উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বৌদ্ধ ও রাখাইন পল্লী গুলো মেতেছে অন্যরকম উৎসবে।
সোমবার ৬ অক্টোবর থেকে উপজেলার বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং রাখাইন জনগোষ্ঠী তাদের ধর্মীয় উৎসব আনুষ্ঠানিক শুরু করেছেন।
হারবাং রাখাইন পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় মহা প্রবারণা পূর্নিমা উৎসবের আয়োজন ঘিরে চকরিয়া উপজেলার ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।
দলে দলে নারী পুরুষ শিশু নতুন পোষাকে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে।
সোমবার বিকালে হারবাং রাখাইন পল্লীতে শুভ প্রবারনা পূর্নিমার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হারবাং প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতা মাস্টার মংয়াই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এরপর হারবাং শাখাখালে প্রবারনা পূর্নিমার অন্যতম আর্কষন কল্প জাহাজ ভাষা ও আকাশে জ্বলজ্বল ফানুস উড়ানো উৎসব উদ্বোধন করলেন চকরিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুপায়ন দেব।
এসময় রাখাইন সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, রাখাইন সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ শিশু উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও চকরিয়া উপজেলার গুণামেজু বৌদ্ধ বিহার, হারবাং শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার, মানিকপুর ধর্ম সুখ বৌদ্ধ বিহার, বন বৌদ্ধ বিহার, ডেমিকারামা বৌদ্ধ বিহার, পৌরসভার ভাঙ্গারমুখস্থ চকরিয়া কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার ও চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা রাখাইন পাড়া এলাকার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রশাসনের নিছিন্দ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর আয়োজনে প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন করছেন।
ভাবগাম্ভীর্যের সাথে তাদের ধর্মীয় তীর্থস্থান প্যাগোডাগুলোতে পূজা অর্চনা দিচ্ছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠিতব্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব আসন্ন মহা প্রবারণা পূর্ণিমা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
যাতে করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষজন তাদের ধর্মীয় তীর্থস্থান প্যাগোডাগুলোতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রার্থনা ও পূজা করতে পারে, উৎসব উদযাপন করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রবারনা পুর্নিমার আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, চকরিয়া থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষথেকে সব বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

Posted ৩:৩১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta