এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী স্বপ্নপুরী ক্লাবের পশ্চিমে দখলবাজ চক্র কতৃক বন্ধ করে দেওয়া স্থানীয় জনগণে ৩৪ বছরের চলাচল সড়কটি অবশেষে খুলে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফখরুল ইসলাম স্বপ্নপুরী ক্লাবের পশ্চিমে ওই এলাকায় উপস্থিত হয়ে জনগণের চলাচল সড়কটি উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
ইউএনও ফখরুল ইসলামের মানবিক হস্তক্ষেপে সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়ায় তিনমাস ধরে জিন্মিদশায় অবরুদ্ধ থাকা ওই এলাকার শতাধিক পরিবারের নারী পুরুষ সবাই এখন খুশিতে পঞ্চমুখ।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী স্বপ্নপুরী ক্লাবের পশ্চিম এলাকায় ৩৪ বছরের চলাচল সড়কটি তাঁর জায়গা দাবি করে জোরপূর্বক দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেন স্থানীয় মোজাফফর আহমদ এর ছেলে নুরুল আলম। এ অবস্থায় যাতায়াত দুর্ভোগে জিন্মিদশায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ওই এলাকার শতাধিক পরিবার।
সড়কটি বন্ধ করে দেয়ার কারণে বিশেষ করে ওই এলাকার ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যদের পাশাপাশি স্কুল কলেজ মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চরম বেকায়দায় ছিলেন। এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিনযাপন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভুমি) এবং চকরিয়া থানার ওসির দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে জিন্মিদশা থেকে মুক্ত হতে আবেদন জানান।
এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো রাহাত উজ জামান ইতোমধ্যে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে সড়কের জায়গাটি ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর তথা নুরুল আমিন চৌধুরীর ক্রয়কৃত জায়গার অংশ হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে।
বাটাখালী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৮৯ সালে চকরিয়া পৌরসভার করাইয়াঘোনা এলাকার মনিরুজ্জামান গংয়ের ছেলে মোহাম্মদ করিম থেকে পাঁচ শতক জমি কিনে আমি স্থানীয় এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য সড়কটি নির্মাণ করে দিই।
প্রায় ৩৪ বছর ধরে সড়কটি দিয়ে এলাকার শতাধিক পরিবারের নারী পুরুষ শিশু সদস্যরা শান্তিপূর্ণ ভাবে চলাচল করে আসলেও গত তিনমাস আগে অভিযুক্ত নুরুল আলম কূটকৌশল করে এলাকাবাসির চলাচল সড়কটি দুই অংশে দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেন।
নুরুল আমিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে বৈঠক করা হলে অভিযুক্ত নুরুল আলম সড়কটি খুলে দিতে হলে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বসে। এতে নিরুপায় হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমার ছেলে নাহিদুল আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়। ওই মামলায় ইতোমধ্যে তদন্ত রিপোর্টে সড়কটি যে এলাকাবাসীর তা সনাক্ত করে দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)।
পরে বিষয়টির আলোকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন এরই প্রক্ষিতে গতকাল শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম ভুক্তভোগী জনগণের সহযোগিতায় অবশেষে সড়কটি দখলমুক্ত করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
Posted ৬:৩০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta