এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১৯ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজার ইউনিয়নের ছগিরশাহ দরগাহ গেইট এলাকায় ইউনিক পরিবহনের যাত্রীবাহি দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৮ যাত্রী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপর হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা সরকারি হাসপাতাল, মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতদের মধ্যে ১২জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাঁরা হলেন চিরিঙ্গা ইউনিয়নের লম্বাবিল চড়া গ্রামের আনোয়ার হোছেনের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮), উখিয়া বালুখালীতে আশ্রীত রোহিঙ্গা আলিম উদ্দিনের ছেলে নুরুচ্ছফা (২৭), আলীকদম উপজেলার বাউপাড়া ভুছি গ্রামের মহুহাই মুরং এর ছেলে লথুন মুরং (৩৮), উখিয়া উপজেলার রাজাপালং তুতোর বিলের দুদু মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৯), চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী চারিঘোনা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ হোছন (৩২), একই ইউনিয়নের হরিখোলা গ্রামের এলাদু মিয়ার ছেলে মুবিনুল হক রবি (২৭) ও পূর্ব বাককুম পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোছেনের ছেলে মোঃ ছৈয়দ (৪৪), উখিয়া খুনিয়া পালং ইউনিয়নের দারিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে রুহুল আমিন (৩৩), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের শান্তিবাজার এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে নুরুল আমিন (২৩), কক্সবাজার পৌর এলাকার কুতুবদিয়া পাড়ার মীর কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ আসিফ (৪), রামু উপজেলার তুমব্রু পাড়া গ্রামের ফয়েজ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (৩৮) ও একই উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ভূমানখীল গ্রামের সুরেশ চন্দ্র শর্মার ছেলে গোপাল শর্মা (৫৬)।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (ইনর্চাজ) এস.আই মো.রুহুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিক পরিবহনের যাত্রীবাহি দুইটি বাস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ও অপরটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুইটি বাস মহাসড়কের রিংভং এলাকায় পৌছলে মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
এতে দুইটি বাসের অন্তত ১৮ থেকে ২০জন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর পর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বাস দুইটি আটক করা হলেও চালক-হেলফাররা পালিয়ে গেছে।
Posted ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta