এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(২২ ডিসেম্বর) :: চকরিয়ায় রাতের আঁধারে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জায়গা জবরদখল চেষ্ঠার ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় মালিকপক্ষের অনুরোধে থানা পুলিশের অভিযানের মুখে দখলবাজরা পালিয়ে গেলে দখল চেষ্ঠা পন্ড হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ওইসময় বেশ কিছু আলামতও জব্দ করেছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দশটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সময় উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কোনাখালীরঘোনা মৌজায় ঘটেছে এই জবরদখল চেষ্ঠার ঘটনা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জায়গার মালিকপক্ষের মোহাব্বত চৌধুরী বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভী জামাল হোছাইন। এছাড়াও আরো ৪-৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে জায়গার মালিক মোহাব্বত চৌধুরী জানান, পুলিশের প্রতিরোধের মুখে জবরদখল চেষ্ঠা পন্ড হয়ে গেলেও বর্তমানে অভিযুক্তরা ফের জায়গা দখলে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগে উপজেলার মধ্যম কোনাখালীর বাসিন্দা মরহুম মাহামুদুল হক চৌধুরীর ছেলে মোহাব্বত চৌধুরী জানান, কোনাখালীর ঘোনা মৌজায় বিএস ৩৬৯ নং খতিয়ানের ২০১০, ২০১৩, ২০২৯, ২০৩০ ও ২০৪৭ দাগের প্রায় ৬ কানি জায়গা রয়েছে। ওই জায়গায় তাদের পরিবার ও ওয়ারিশরা চাষাবাদ করে বৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে।
আক্রান্ত জায়গার মালিক ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, মরহুম মাহামুদুল হক চৌধুরীর পরিবারের ওই জায়গা জবরদখল করতে পাশের ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের একটি দখলবাজচক্র নানাভাবে অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। এরই জের ধরে ১৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দশটার দিকে অভিযুক্ত জামাল হোছাইনের নেতৃত্বে ভাড়াটে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ওইসময় তাঁরা ঘেরাবেড়া দিয়ে জায়গাটি জবরদখলের চেষ্ঠা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জবরদখল চেষ্ঠার আগে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা ত্রাস সৃষ্টি করতে রাতের আঁধারে ওই এলাকায় ব্যাপক ফাঁকা গুলিবর্ষন করে। এসময় আশপাশের এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জায়গার মালিক মোহাব্বত চৌধুরী জানান, ঘটনার সময় তাঁরা বিষয়টি চকরিয়া থানার ওসিকে অবহিত করেন। পরে ওসির নির্দেশে থানার এসআই অপু বড়–য়া ও এসআই গাজী মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশদল রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দখলবাজরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে ঘেরাবেড়া তৈরীর বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন, পুলিশের প্রতিরোধের মুখে জবরদখল চেষ্ঠা পন্ড হয়ে গেলেও বর্তমানে অভিযুক্তরা ফের জায়গা দখলে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জায়গা জবরদখল চেষ্ঠার খবর পেয়ে ঘটনার রাতে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি এজাহার পাওয়া গেছে। এব্যাপারে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানার এসআই গাজী মাঈন উদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Posted ১১:২৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta