বিশেষ প্রতিবেদক,চকরিয়া(৩০ মে) ::কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘মোরার’ আঘাতে উপকূলীয় চকরিয়ায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে গাছ চাপায় দুজন নিহত এবং আহত হয়েছে ২০ জন।নিহতরা হলেন জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব ডোমখালীর রহমত উল্লাহ (৫০) এবং একই উপজেলার পূর্ব বড়হেউলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার সায়েরা খাতুন (৬০)।
চকরিয়া-পেকুয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরার’ আঘাতে অন্তত ৫ শতাধিক বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত ও অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নিরুপন করতে পারেনি প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত আনা শুরু করলেও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এর গতিবেগ ছিল ১১০ থেকে ১১৭ কিলোমিটার। উপজেলার প্রশাসরে পক্ষ থেকে সাইকোন শেল্টারে আশ্রীতদের শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।
কোণাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, আমার ইউনিয়নে অন্তত দুই শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক গাছ-পালা উপড়ে গেছে। বর্তমানের এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। পরিষদের সমস্ত চৌকিদাররা দুর্গতদের ঘরবাড়ি পাহারা দিচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, উপকুলীয় এলাকার অন্তত লক্ষাধিক মানুষকে রাতেই সাইকোন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আশ্রিতদের প্রশাসনর পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।চকরিয়ায় ঘুর্ণিঝড় মোরার প্রভাব শতাধিক বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হলেও প্রভাব পুরোপুরি কেটে না যাওয়া পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, দুর্গতদের সাহায্যে সিপিপি’র কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা দুর্গদের পাশে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে সব কিছু মনিটরিং করা হচ্ছে।
এদিকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুবউল করিমের জানান, এ উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ২শতাধিক বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলায় ৭২টি আশ্রয় কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে। তাদের শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া ৮টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত মাঠে কাজ করছে। উপজেলা প্রশাসনে কন্ট্রোল রুম থেকে সব কিছু মনিটরিংকরা হচ্ছে।
Posted ২:৫৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta