এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১৮ আগষ্ট) :: চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে কৃষকের রোপিত চার কানি জমির ধানক্ষেতে রাতের আঁধারে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। পুর্ব বিরোধের জেরে এলাকার কতিপয় মহল এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার। এতে পরিবারটি প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
অভিযোগে আক্রান্ত কৃষকের পরিবার সদস্যরা জানান, ইউনিয়নের তেইল্যাকাটা গ্রামের কৃষক হাজি রফিক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছেন। তিনি কিছুদিন আগে একই এলাকার ফজল করিম ও কারী আকবরের কাছ থেকে চারকানি জমি ক্রয় করেন। ওই জমির বিপরীতে কৃষক রফিক হোসেনের নামে ইতোমধ্যে দুটি নামজারি (বিএস খতিয়ান নং ৩৭০০ ও ৩৬৭৯) খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে।
জমি ক্রয়ের পর রফিক হোসেনের বাড়িতে থাকা স্ত্রী কাজের লোক দিয়ে ওই জমিতে ধান রোপন করেছেন। কিন্ত কয়েকদিন আগে রাতেঁর আঁধারে কতিপয় মহল ওই ধানক্ষেত্রে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে। এতে ক্ষেতের ধান গাছ গুলো মরে লালছে হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকের পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, ক্রয়কৃত জমিতে নিজেদের অংশ রয়েছে দাবি করে একই ইউনিয়নের খয়রাতিপাড়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কাইছার উদ্দিন জুসেফ, আবদুস ছালামের ছেলে ফরিদুল আলম, রসুলাবাদ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সফিউল আলম মনু ও হাবিবুল আলমসহ একটি মহল নানাভাবে অপচেষ্ঠা করে আসছে।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিসী বৈঠক হলে তাতে হাজি রফিক ক্রয়কৃত সুত্রে জমির বৈধ মালিক হিসেবে রায় পান। মুলত ওই ঘটনার জেরে অভিযুক্তরা রাতের আঁধারে ধান ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত কৃষকের পরিবার ও এলাকার লোকজন।
কৃষক রফিক হোসেনের স্ত্রী রায়হান জন্নাত জানান, ধানক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ঘটনাটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ সরেজমিন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এ ঘটনায় তিনি আইনী প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান।
Posted ২:০০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta