এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(৪ জুন) :: চকরিয়ায় হুমাইরা নামের এক গৃহবধু পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে পালিয়ে যৌতুক দাবী ও নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বামী ও শ্বশুরকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের কৃৃষ্ণাপুর এলাকার এ ঘটনা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,২০১১ সালের ২০মার্চ সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর গুরুন্যাকাটা এলাকার নুরুল আমিনের মেয়ে হুমাইরা বেগমের সাথে বিএমচর ইউনিয়নের কৃষ্ণাপুর এলাকার শামসুল আলমের পুত্র জামাল হোছাইনের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক নিকাহনামামূলে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়।
বিবাহের কিছুদিন যেতে না যেতেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদেরসূত্রপাত হয়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অগোচরে হুমাইরা তার বাপের বাড়ীর পাশ্ববর্তী এলাকার এক ব্যাক্তির সাথে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পারলে স্বামীর অজান্তে ২০১৬ সালের ১২জুলাই হুমাইরা স্বামীর গচ্ছিত নগদ একলক্ষ টাকা, স্বর্ণলংকার ও মূল্যমান কাপড় চোপড় নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়।এতে ভুক্তভোগী স্বামী জামাল হোছাইন তার স্ত্রী হুমাইরাকে সংসারে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আইনজীবি মাধ্যমে নোটিশ প্রেরণ করেন।
এর জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমাইরা বেগম বাদী হয়ে গত ১৯মে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতেক একটি সিআর (মামলা ৩৫৮) দায়ের করেছেন। মামলায় স্বামী জামাল ছাড়াও আসামি করা হয়েছে শ্বশুর শামসুল আলমকে।
মামলার অভিযুক্ত ভোক্তভোগী স্বামী জামাল হোছাইন বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ির আশ্রয় পশ্রয়ে আমার স্ত্রী হুমাইরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে উচ্ছৃংখল আচারণ করত।এ বিষয়ে তার বাবা-মাকে কয়েকবার বলাও হয়েছিল।
কিন্তু কোন সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়ে পালিয়ে চলে যাওয়ার পর উল্টো এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পিতাকে হয়রানি করার জন্য মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদন্ত পূর্বক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যরা আহ্বান জানিয়েছেন।
Posted ১০:৪৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta