এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১৭ জুন) :: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন কমিটির উদ্যোগে শনিবার বিকালে স্থানীয় ডুলাহাজারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি জামাল হোছাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল এহেছান চৌধুরী সাইফুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি বাবু এমআর চৌধুরী, মোক্তার আহমদ চৌধুরী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, আবু মুছা, বিএমচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহনেয়াজ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মিজবাউল হক, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মেরাজ, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক বেলাল আজাদ, পহঁরচাদা সাংগঠনিক আওয়ামীলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহমদ প্রমুখ। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ঘোষিত মাসব্যাপী ইফতার আয়োজনের অংশ হিসেবে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইফতার অনুষ্ঠানে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, একসময় চকরিয়া-পেকুয়ার আসনটি বিএনপি জামাতের ঘাটি ছিল। সেইদিন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীদের দাপটে এখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ঠিক মতো দল করতে পারতো না।
এমনকি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে এবং স্বাভাবিক জীবনেও ছিল অনেকটা অসহায়। কিন্তু আমি যখন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের হাল ধরি, তখন চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার সর্বস্থরের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নির্ভয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। নিজেদের ব্যবসা নিজেরা করতে পারছে। বিগত সময়ে চকরিয়া পেকুয়া জনপদে বিএনপি জামাতের সকল ধরণের আন্দোলন আমি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পথিহত করি। বলতে পারেন বর্তমানে চকরিয়া-পেকুয়া অঞ্চলে বিএনপি জামাতের ঘাটি তছনছ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমি এভাবেই আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়েছি এবং চকরিয়া পেকুয়া উপজেলাকে নৌকার ঘাটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা আমাকে দলের মনোনয়ন দেন। আগামী নির্বাচনেও আমি দলের মনোনয়ন পাব নিশ্চিত বিষয়টি আঁচ করতে পেরে রাজনৈতিক কিছু সুবিধাভোগী নেতা আমার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচারে নেমেছে। আল্লাহ পাক সহায় থাকলে এবং চকরিয়া পেকুয়ার ত্যাগী ও পরীক্ষিত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সামনে তাদের সব অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কোন ধরণের নির্দেশনা না থাকলেও চকরিয়া পেকুয়া আসনে সাংগঠনিক টিম করা হয়েছে। এই টিমটি কার স্বার্থে কাজ করছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। চকরিয়া-পেকুয়া সাংগঠনিক টিমের অসাংগঠনিক কার্যক্রমের বিষয়ে আমি সম্মানিত কক্সবাজার জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে কঠোর মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি দাবি করে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের চটগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি জেলা আওয়ামীলীগের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হন সেখানে সভাপতি হবেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী এনামুল হক শামীম তো অনুষ্ঠানের সভাপতি হবেন না। তাই বলি চকরিয়া পেকুয়া সাংগঠনিক টিমের অনুষ্ঠান হলেও চকরিয়া উপজেলার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কে তা আমার প্রশ্ন। এ ধরণের অসাংগঠনিক কার্যক্রম নিশ্চয় সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।
Posted ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta