এরপর দুইজনকে নিয়ে আসা হয় চকরিয়া থানায়। গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারী যুবকের নাম মো. আবদুল হক রুবেল (২৬)। সে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতার বিলের মুসলিম পাড়ার মো. ছৈয়দ আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২০ অক্টোবর উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাতগরিয়া পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। পথিমধ্যে একই ইউনিয়নের গাবতলী বাজার এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা
অপহরণকারী চক্র ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম রায় সরকার দৈনিক আজাদীকে জানান, ওই ছাত্রীকে অপহরণের পর থেকে অপহরণকারী চক্রের হোতা আবদুল হক রুবেল অসংখ্যবার স্থান বদল করে আত্মগোপনে ছিল। মাঝে–মধ্যে ওই ছাত্রী পরিবার সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগও করে।
পরে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ওই মোবাইল নম্বরের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযানে গেলেও ইতিপূর্বে একাধিকবার ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন। সর্বশেষ মোবাইল নম্বরের অবস্থান শনাক্ত হয় চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার এক প্রবাসীর ভাড়া বাসায়।
সেই অবস্থানের সূত্র ধরে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্রীর বাবা জানান, তার স্কুলপড়ুয়া এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে অপহরণ করে দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ অপহরণকারী জেঠাতো বোন জাহানারা বেগমের ভাড়া বাসায় রেখে মেয়ের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, অনেক চেষ্টার পর অপহরণের আটমাস পর চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের মূলহোতা আবদুল হক রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী উদ্ধারকৃত ছাত্রীর ডাক্তারী পরী ার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ এবং গ্রেপ্তার অপহরণকারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta