কক্সবাংলা ডটকম(১০ জুলাই) :: রাজধানীতে সুসজ্জিত বাড়ি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলোকে মাদক স্পট বানিয়ে সেখানে দশ বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে এমন একটি চক্রের নারীসহ ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। রবিবার বিকালে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহম্মেদ এই তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— রবিউল ইসলাম(৪৫), শামীম আহম্মেদ(৩৭), আসমা আহম্মেদ(৩৭), মনোয়ারা বেগম(৬০), স্বপ্না বেগম(৩০) ও মাহমুদা রানী(৪৬)। এরা একই পরিবার এবং তাদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তারা সবাই একসঙ্গে স্যানিটারি ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করছেন বলে অধিদফতেরে অভিযোগ রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘সারাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। আমাদের টিমের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর এ্যালিফ্যান্ট রোড, কলাবাগান ও পশ্চিম রাজাবাজারে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৫০ হাজার ইয়াবা, দুই লাখ ৮০ হাজার নগদ টাকা, পাঁচটি মোবাইল সেট ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বইসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মধ্যে চারজন নারী রয়েছেন।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘এখানে তিন-চারটি পরিবারের সদস্য রয়েছে। এরা সবাই পরস্পরের আত্মীয়। তারা সেনিটারি ব্যবসার আড়ালে চাকচিক্যময় নিজস্ব ফ্লাটে ব্যবসা করে আসছিল। সেনিট্যারি ব্যবসা তাদের লোক দেখানো। যেন কেউ ধরণা না করতে না পারে, যে তারা ইয়াবা ব্যবসা করে। বাসার ভেতরের ডেকোরেশন দেখলে বোঝা যায়, তারা কত উচ্চাভিলাসী জীবন-যাপন করত।’
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘গত ১ জুলাই একটি চেকে এক কোটি টাকা লেনদেন করেছে। আরও অনেক টাকার লেনদেনের কাগজপত্র আছে। সেগুলো নিয়ে ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে।’
জামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাদের সঙ্গে এই ব্যবসায় আর কারা কারা জড়িত, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। সবচেয়ে সফলতার বিষয়, চেক বই জব্দ করা হয়েছে, তা থেকে মাদকের সঙ্গে জড়িত আরও গডফাদার বা ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে। আটক ব্যবসায়ীরা আলিশান বাড়িসহ লাক্সারিয়াস গাড়িও ব্যবহার করত।’ আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইন ও মানিলল্ডারিং আইনে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
মাদকসহ আটক করা হলেও কয়েকদিন জেল কাটার পর আবার বের হয়ে এসে দাপটে একই ব্যবসায় জড়িত হয়,এমন প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। কিন্তু আদালতের কাছে আমাদের আর্জি থাকবে তারা যেন ব্যাপারটা অনুধাবন করে দেখেন, কোনও আসামী যেন আইনকে ফাঁকি দিয়ে বের হতে না পারে। অপরাধীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। তারপরও যদি কোন আসামী বের হয়ে এই ব্যবসায় জড়িত হতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে।’
Posted ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta