কক্সবাংলা ডটকম(১১ জুলাই) :: চীনের ওপর পাল্টা চাপ বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত।এজন্য মরিশাস ও সেশেলসে দু’টি সবুজ দ্বীপ কিনেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
দ্বীপ দু’টি হল মরিশাসের ‘অ্যাগালেগা দ্বীপ’ ও সেশেলসের ‘অ্যাসাম্পশন দ্বীপ’। এ দু’টি দ্বীপ দিয়ে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ জ্বালানিবাহী জাহাজ যাতায়াত করে।
প্রায় এক মাস ধরে ভুটান সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
বৈঠকে কূটনৈতিক পদ্ধতিতে শান্তির পথ খোঁজার চেষ্টার পাশাপাশি চীনের ওপর চাপ বাড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
অন্যদিকে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে নিজেদের কৌশলগত উপস্থিতি আরও বাড়ানোর জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদি সরকার। এর প্রেক্ষিতে মরিশাস ও সেশেলসে ওই দু’টি দ্বীপ কিনেছে ভারত। সেখানে বিমানঘাঁটি এবং বন্দর গড়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, চীন যেভাবে ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ নীতির মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে নজরদারি তৈরি করার কৌশল নিয়েছে, তার পাল্টা হিসেবে এই দ্বীপ দু’টিতে ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে ভারত।
এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র ভারতকে গত বছরই জানিয়েছিল যে, সেশেলসসহ ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি গড়ার জন্য তৎপরতা চালিয়েছে চীন।
আমেরিকার কাছেও বিষয়টি উদ্বেগজনক।
কারণ, এই অঞ্চলে মরিশাসেরই দিয়েগো গার্সিয়াতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
যদিও এই দ্বীপ বেসরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ব্রিটেন। তবে ঘাঁটিটি মার্কিন সেনাদেরই অধীনে। কারণ এই বিষয়ে ব্রিটেন এবং আমেরিকার মধ্যে অলিখিত চুক্তিও রয়েছে।
এসব পরিস্থিতে নিরাপত্তা এবং কৌশলগত প্রশ্নে ভারত এবং চীনের মধ্যে আস্থার অভাব ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে করছেন দিল্লির বিশেষজ্ঞ সংস্থা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক প্রতিনিধি দর্শনা বড়ুয়া।
দু’দেশের পাল্টাপাল্টি এমন তৎপরতায় পরিস্থিতি ত্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এতে করে ভারত-চীন সম্পর্ক শীঘ্রই ভয়াবহ মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের।
Posted ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta