কক্সবাংলা ডটকম(২৩ মে) :: বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতা দেবে ভারত। এক্ষেত্রে ভারত নিজে থেকে কিছু করবে না।২৩ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ অংশ নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা করবে ভারত? ডিক্যাব টকে বণিক বার্তার এমন প্রশ্নের উত্তরে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, এটি আপনাদের বলতে হবে, আপনাদের কী দরকার। আমরা ঠিক করে দেব না আপনাদের কী লাগবে। বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পর আমরা এসে বলিনি যে, আপনাদের কী লাগবে। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।
সেখানে ভারত বলেছে যে, আপনাদের যা লাগবে তা আমরা দিতে প্রস্তুত। যদি কমান্ডো প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয় বা বিশেষ ধরনের সরঞ্জাম কিংবা নজরদারির জন্য যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়, তবে তা দিতে প্রস্তুত ভারত। চাহিদাটি আপনাদের পক্ষ থেকে আসতে হবে। একইভাবে নির্বাচনে কী ধরনের সহায়তা লাগবে সে সম্পর্কে বাংলাদেশকে ধারণা দিতে হবে। আমরা তা সানন্দে দিতে প্রস্তুত।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা মাত্রার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে এ সম্পর্ক দৃঢ় পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
ফলে স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক আদালতের দেয়া রায় অনুসারে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ, উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্পর্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্কে বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশই একমত। চুক্তির প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান দ্রুতই হবে বলে আমি আশা করি।
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতের অন অ্যারাইভাল অথবা ই-ভিসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতীয় ভিসার প্রক্রিয়া এখন অনেক সহজ। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়া হচ্ছে। নারীদের সরাসরি আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সবার জন্যই এক বছরের ভ্রমণ ভিসা দেয়া হচ্ছে। এসব সুবিধা ই-ভিসার চেয়ে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে না। ই-ভিসা শুধু বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং সেখানেও ভিসা প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাবে। এর চেয়ে আগাম ভিসা নিশ্চিত করার দিকেই বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া আরো সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
Posted ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৪ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta