মো: ফারুক,পেকুয়া(১৬ আগষ্ট) :: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পুরো পরিবারকে (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ঘাতক মীর জাফরেরা। তাদের অনুসারীরা এখন বর্তমান আ’লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে হত্যা চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছেন।
এছাড়াও আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার তিন ভাইকে অস্ত্র দিয়ে আটক করিয়েছে ঘাতক মুস্তাকের অনুসারীরা। আমরা যারা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর অনুসারী জাতীয় শোক দিবসের শোককে শক্তিতে পরিণত করে আটক যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।
আপনারা ধর্য্য ধারণ করুণ আগামী ২০ দিনের আপনাদের নেতাকে আপনাদের বরাবর ফিরিয়ে দেব। এছাড়াও আপনাদের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আগামী নৌকার প্রতীককে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ এই পেকুয়া আ’লীগ নেতাকর্মীদের অগ্রনী ভুমিকা রাখতে হবে। ইনশাল্লাহ আগামীবারও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ’লীগ ক্ষমতায় আসবে।
১৬ আগষ্ট পেকুয়া উপজেলা জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটি-১৭ এর উদ্যোগে অনুষ্টিত আলোচনা সভা ও কাঙ্গালী ভোজে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস কাদেরীর পবিত্র কোরাআন তেলোয়াতের মাধ্যমে পেকুয়া উপজেলা জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক জেলা আ’লীগ সদস্য এস.এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মাষ্টার হানিফ চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন-সম্পাদক আকতার হোছাইনের পরিচালনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা এ্যাড: কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি এ্যাড: আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কক্সবাজার পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহাবুবুল আলম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরুউদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মিতুন, জেলা আ,লীগ সদস্য আবু হেনা মুস্তফা কামাল, সদস্য জিয়া উদ্দিন জিয়া, সদস্য উম্মে কুলসুম মিনু, সদস্য জিএম কাশেম অভিন্ন সুরে বলেন, পেকুয়ার জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্টানে হাজার হাজার আ’লীগ নেতাকর্মী দেখে আমরা অভিভুত।
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে পেকুয়ায় শোক দিবস আয়োজক কমিটিকে। আমরা আপনাদের সাথে আছি।
বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করেছিল তা ছিল নির্মম। এ ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত আছে। পেকুয়ার যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম যখন পেকুয়ার যুবলীগ আ’লীগকে সংগঠিত করার প্রয়াস চালাচ্ছিলেন তখনি আ’লীগের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও বিএনপি-জামায়াতের এ্যাজেন্ট তাকে র্যাব দিয়ে আটক করিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখনে চকরিয়া আ’লীগের যুগ্ন-সম্পাদক আজিমুল হক চেয়ারম্যান, চকরিয়া পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, পেকুয়া শোক দিবস পালন কমিটির কো-চেয়ারম্যান বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সালাউদ্দিন এম, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, কাজিউল ইনসান, মাশুক আহমেদ, মফিজুর রহমান, আ’লীগ নেতা ফরিদুল আলম, কামাল হোসেন, মাওলানা ছাবের আহমদ, মহিলা আ’লীগ নেত্রী ছেনুয়ারা, আ’লীগ নেতা কবির আহমদ, আবু তালেব, সাইফু উদ্দিন খালেদ, আজম খান, বেলাল উদ্দিন,
কৃষকলীগ নেতা আবু তালেব, শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল আবছার, সাইফুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজিবীলীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য শফিউল আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মমতাজুল ইসলাম, জোবাইদুল্লাহ লিটন, তাঁতীলীগ নেতা জায়েদ মোর্শেদ,মো: ইসমাঈল, ব্যবসায়ী নেতা মিনহাজ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা সেলিম উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা এহেতাসামুল হক, ওসমাণ সরওয়ার বাপ্প্,ি যুবলীগ নেতা জাফর আলম, হারুনর রশিদ, আনসার উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, মো: হুমাইন, মো: শফি, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সেপু, ইউপি সদস্য জিয়াবুল, ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম, আলী হোসেন, আজগর আলী, হেলাল উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, মিজবাহ, আকতার হোসেন, মো: কাইছার, পেকুয়া উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আ’লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আ’লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতালীগ, সৈনিকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
পুরো অনুষ্টান ও কাঙ্গালী ভোজ সার্বিক তত্ত্বাবধায়ের দায়িত্বে ছিলেন শোক দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব শহিদুল্লাহ বিএ। পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তৈরি করা বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
আ’লীগ পরিবারে নির্মম তান্ডব মেনে নেওয়া যায়না
—————————-
পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার তিন ভাইকে র্যাব কর্তৃক আটকের পরে কক্সবাজার জেলা আ’লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দরা বাড়ি পরিদর্শন করেছে। এ সময় পুরো বাড়িতে নারকীয় তান্ডবের দৃশ্য থেকে তারা হতবাক হয়ে পড়েন।
১৬ আগষ্ট বিকালে পেকুয়া চৌমহুনীস্থ জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে যান জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা এ্যাড: কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি এ্যাড: আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কক্সবাজার পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহাবুবুল আলম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরুউদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মিতুন, জেলা আ,লীগ সদস্য আবু হেনা মুস্তফা কামাল, সদস্য এস.এম গিয়াস উদ্দিন, সদস্য জিয়া উদ্দিন জিয়া, সদস্য উম্মে কুলসুম মিনু, সদস্য জিএম কাশেম, চকরিয়া আ’লীগের যুগ্ন-সম্পাদক আজিমুল হক চেয়ারম্যান, চকরিয়া পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টনসহ পেকুয়া উপজেলা শোক দিবস পালন কমিটির নেতৃবৃন্দরা। এ সময় তারা পুরো বাড়ি পরিদর্শন পূর্বক জাহাঙ্গীর আলমের পিতা রমিজ আহমদ, স্ত্রী রুমেনা আকতার, ভাই ওসমাণ সরওয়ার বাপ্পির সাথে কথা বলেন। তাদের বক্তব্য শুনেন তারা।
ওই সময় জেলা নেতৃবৃন্দরা পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। একটা মানুষের দোষ ত্রুটি থাকতে পারে। তাই বলে এ রকম তান্ডব কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। সান্তনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নাই। আমরা কথা দিচ্ছি আগামী ২০দিনের ভিতর তাকে মুক্ত করে আপনাদের ফিরিয়ে দেব। আর যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আটক করিয়েছে তাদের পরিমাণ ভাল হবেনা। আপনারা ধর্য্য ধরুণ। এ সময় পরিবারের সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
Posted ৯:১৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta