হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২৫ ডিসেম্বর) :: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সওজ রেস্ট হাউস সংলগ্ন নাফনদীতে পর্যটক বোঝাই জাহাজ ও বালি উত্তোলনকারী লোড-ড্রেজারের মধ্যে মুখোমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোন প্রকারে যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পেলেও আগামীতে পর্যটক বোঝাই জাহাজ নিরাপদ করতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী উঠেছে।
জানা যায়,২৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দমদমিয়া জেটিঘাট হতে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটক বোঝাই কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন নাফনদী দিয়ে যাওয়ার পথে জালিয়াদ্বীপের উন্নয়নকাজে ব্যবহৃত নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী লোড-ড্রেজার-১ এর সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় পর্যটকদের চিৎকারে আতংক ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে জাহাজে থাকা ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু পর্যটক।
উক্ত ড্রেজারের জেনারেটর সমস্যা, স্টিয়ারিং ত্রুটি এবং সিগন্যাল অমান্যের ফলে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবী করা হলেও ড্রেজারে থাকা অপর কর্মচারীরা আরো কয়েকটি ড্রেজার নিয়ে পর্যটক বোঝাই জাহাজকে ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পর্যটক বোঝাই জাহাজে অবস্থানকারী প্রশাসনিক কর্মকতা এবং সংবাদকর্মীদের তৎপরতায় পরিস্থিতি শান্ত হলে পর্যটক বোছাই জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
এই ব্যাপারে পর্যটক ঢাকা সাভার ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ দেলোয়ার হোছাইন বলেন,স্বপরিবারে বেড়াতে এসে দূঘর্টনার কবলে পড়ে চরম উদ্বেগে ছিলাম। আল্লাহ রক্ষা করেছেন তবে বাচ্চারা একটু ব্যথা পেয়েছে।
জাহাজে অবস্থানকারী বিআইডব্লিউটিএ- এর সহকারী পরিচালক ওবায়দুল করিম খাঁন বলেন,পর্যটকবাহী জাহাজ ক্যাপ্টেনের দক্ষতার কারণে বড় ধরনের দূঘর্টনা থেকে আমিসহ সকলে রক্ষা পেয়েছি।
অপর পর্যটক সাবেক সচিব ও সদ্য গঠিত প্রতিযোগিতা কমিশন সচিব ইকবাল খাঁন চৌধুরী বলেন,স্বপরিবারে প্রবালদ্বীপ ভ্রমণে এসে জীবনের প্রথম দূঘর্টনার অভিজ্ঞতা হল। আল্লাহর অসীম রহমতে আমরা সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।
দূঘর্টনার বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকের নিকট জানতে চাইলে বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে পরিস্থিতির ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খবর রাখা হচ্ছে। এই নৌপথে বড় ধরনের দূঘর্টনা না ঘটলেও এখন হতে সার্বিক বিষয়ে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে।
Posted ১:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta