হুমায়ুন রশীদ টেকনাফ(৬ সেপ্টেম্বর) :: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় বঙ্গোসাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় আরও টেকনাফ উপকূলে পাঁচজনের মরদেহ ভেসে এসেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে।
৬ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের মাজারপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া ও পশ্চিমপাড়া তীরে মরদেহ পাওয়া গেছে।
আর মিয়ানমারে নতুন করে সংহিস পরিস্থিতি সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত নৌকাডুবি ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫৯ রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া গেল।
টেকনাফ উপজেলার শাহপরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হক জানান,বদরমোকাম এলাকার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাডুবির পর অনেকে সাঁতরে তীরে উঠেছেন। পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে তিন শিশু ও দুই নারীর মরদেহ সাগর তীরে পাওয়া যায়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
সাঁতরে তীরে উঠা কয়েকজন রোহিঙ্গার বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, শতাধিক রোহিঙ্গা এখনো নিখোঁজ। মোহনা অতিক্রম করার সময় নৌকা উল্টে যায়। একেকটি নৌকায় ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী ছিল, যা ধারণ ক্ষমতার বেশি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান জানান, তীরে পাঁচটি লাশ পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন।‘স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের ১১টি নৌকাডুবির ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ জানান, ভোররাতে সেন্ট মার্টিন কোস্টগার্ড বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে আটক করে। পরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তিনটি ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর দিয়ে তাদের মিয়ানমারে পুশব্যাকের চেষ্টা করে। মাঝপথে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এদিকে কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. আশরাফ সেন্ট মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে দাবি করেছেন, ট্রলার ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে সেন্ট মার্টিনের অধিবাসীরা বলেছেন, রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবিতে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
Posted ১২:১০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta