হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(৩১ আগষ্ট) :: টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে নির্যাতন, স্বজন, বাস্তুহারা হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী ও শিশু প্রাণে বাঁচার আকূতি নিয়ে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয়ের সন্ধানে রোহিঙ্গা বস্তি এবং গ্রামেগঞ্জে আশ্রয়ের আশায় ছুটে চলছে।
জানা যায়,৩১আগষ্ট ভোররাত হতে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারী,পুরুষ ও শিশু উপজেলার উলুবনিয়া, খারাইগ্যাঘোনা, হোয়াইক্যং কোনার পাড়া, লম্বাবিল, ঊনছিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, নয়াপাড়া বটতলী, মিনাবাজার, নয়াবাজার, মৌলভী বাজার, জাদিমারা নয়াপাড়া, টেকনাফ নাইট্যং পাড়া, নাজির পাড়া, সাবরাং মৌলভী পাড়া, নয়াপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নেওয়ার জন্য স্বজন, নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প, লেদা রোহিঙ্গা বস্তি, কুতুপালংসহ বিভিন্ন গ্রামে পরিচিত জনদের নিকট ছুটছে।
নয়াপাড়া বটতলী এলাকা হতে গুলিবিদ্ধ ৩ যুবকদের জনতার সহায়তায় কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। এদিকে সীমান্ত রক্ষী বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীর বাঁধা রোহিঙ্গাদের ¯্রােতে তছনছ হয়ে যায়।
কয়েকটি পয়েন্টে দালাল নামধারী ছিনতাইকারীদের কবলে হয়রানি,নাজেহাল ও ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব দালালদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে অনেক দানবীর তাদের মানবিক সহায়তা দিতে দেখা গেছে।
লেদা রোহিঙ্গা বস্তির হাফেজ মোঃ আইয়ুব বলেন,সকালে ৫জীপ ও ১ মাইক্রো এবং সন্ধ্যায় আরো বেশ কিছু রোহিঙ্গা নারী-শিশু অবস্থান নিয়েছে। নয়াপাড়া রোহিঙ্গা বস্তির জনৈক শাকের বলেন,প্রায় ২শত রোহিঙ্গা নারী-শিশু ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন,গত রাতে বিজিবি জওয়ানেরা প্রায় ৩শ মত রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের আটক করে। সকালে দেখি বিশাল রোহিঙ্গার ¯্রােত। তারা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পমুখী।
যা আটকানো বিজিবি, পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সাধ্যের বাইরে চলে যায়। তবে স্থানীয় জনসাধারণকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাথে মানবিক আচরণের জন্য বলা হয়। অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তাদের খাদ্য সহায়তা দিতে দেখা গেছে।
Posted ১:২৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta