হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২৯ জুন) :: টেকনাফে ইয়াবার চালান নিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি জওয়ানেরা অভিযান চালিয়ে এক নাগরিককে আটক করেছে। এই ঘটনায় ৫ইয়াবা চোরাকারবারীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলেও স্থানীয় অপর ইয়াবা গডফাদারেরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,গত ২৭জুন রাত সাড়ে ৯টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপির সুবেদার মিজানুর রহমান মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান অনুপ্রবেশের সংবাদ পেয়ে সর্ঙ্গীয় টহল দল নিয়ে হ্নীলা জাদিমোরা বরাবর নাফনদীতে ওঁৎ পেতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর ৫/৬জন লোক একটি ব্যাগ নিয়ে আসতে দেখলে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করা মাত্র কেওড়াঁ বাগানের ভেতরে পালিয়ে যায়। বিজিবি জওয়ানেরা ধাওয়া করে ইয়াবা ভর্তি ব্যাগসহ হ্নীলা নয়া পাড়ার মৃত মীর কাশেমের পুত্র শাহাবুদ্দিন (২৬)কে আটক করে।
পরবর্তীতে ব্যাগটি ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ২৯লক্ষ ৯১হাজার টাকা মূল্যমানের ৯হাজার ৯শ ৭০পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে ইয়াবা চোরাচালানে সংশ্লিষ্ট একই এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র রেজাউল করিম (১৮),মোঃ নুর (২০),নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ সালাম (৩০), লম্বা মৌলভীর পুত্র মোস্তফা কামাল (৩৫)এবং মোঃ ইউনুছ (৩৫)পিতা অজ্ঞাতকে পলাতক আসামী করে সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে মামলা দায়েরের পর ধৃত ব্যক্তিকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে গত বছরের ৯অক্টোবরের পর হতে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জেরধরে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সহানুভূতিশীল মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টের আদম পারাপারের ঘাট সমুহকে কাজে লাগিয়ে ইয়াবা চোরাকারবারীরা ইয়াবার চালান নিয়ে আসার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি উক্ত পয়েন্টে আদম পাচারের ঘাটে সংশ্লিষ্ট শতাধিক ব্যক্তি ইয়াবা চোরাচালানে জড়িত।
স্থানীয় সচেতনমহল ধরা-ছোয়াঁর বাইরে থাকা অপর ইয়াবা চোরাচালানীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Posted ৩:০৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta