হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২১ জুন) :: টেকনাফে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগর উপকূলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহকারী জেলেদের নিয়ে বিজিবির সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১জুন বিকাল পৌনে ৩টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং প্রীতম কমিউনিটি সেন্টারে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের আয়োজনে নদী ও সমুদ্র উপকূলের জেলেদের সাথে মতবিনিময় সভা হোয়াইক্যং জেলে কমিটির সভাপতি সৈয়দ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপাধিনায়ক শরীফ উদ্দিন জমাদ্দার,হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী,সাংবাদিক নুরতাজুল মোস্তফা শাহীন শাহ,জেলে কমিটির নেতা আলী আজগর, সমাজ সেবক খোরশেদ আলম প্রমূখ।
এসময় হোয়াইক্যং বিওপি কোম্পানী কমান্ডার হুমায়ূন কবির,উনচিপ্রাং বিওপি কোম্পানী কমান্ডার গুরুপদ বিশ্বাস,ঝিমংখালী বিওপি কোম্পানী কমান্ডার নজরুল ইসলাম,জেলে কমিটির নেতা মোঃ মামুন,কর্মরত জেলেসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তারা বলেন,নাফনদী সম্পর্কে দেশীয় জেলেদের তেমন ধারণা না থাকায় প্রায়ই সময়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে অপহরণ,নির্যাতন,হামলা ও মুক্তিপণ দানে বাধ্য হন। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং জেলে চোরাচালান করতে গিয়ে ওপারের বিজিপির হাতে আটক হয়ে কারাভোগ করছে।
ওপারের সীমান্ত রক্ষীদের সহায়তায় যাবতীয় মাদক ও চোরাইপণ্য বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দেশে অনুপ্রবেশ করছে। এসব মাদকের চালান অনুপ্রবেশরোধে সীমান্তের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে এক সাথে মিলে কাজ করার আহবান জানান।
ইতিমধ্যে মিয়ানমারে সাজাভোগ শেষে ১৯জন জেলে দেশে ফিরিয়ে এসেছে এবং অবশিষ্টদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে চোরাচালানসহ যাবতীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে এই কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।
Posted ২:০২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy