হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(৩১ আগষ্ট) :: কক্সবাজারের টেকনাফে নাফনদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৯জন রোহিঙ্গা নারী-শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এক মাঝির সহায়তায় জীবিত অবস্থায় আরো ২০নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,৩১আগষ্ট ভোররাত ৩টারদিকে মিয়ানমার হতে ২টি ট্রলারে করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে রওয়ানা দেয়। মাঝপথে এসে ট্রলারে থাকা দালালেরা নারীদের স্বর্ণালংকার ও টাকা দাবী করে এবং সুন্দরী নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে রোহিঙ্গা পুরুষেরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
সকাল সাড়ে ১০টার হতে সোয়া ১১টা পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে ডাঙ্গরপাড়া পয়েন্টে স্থানীয় বিজিবি,কোস্টগার্ড ও জনতার সহায়তায় ভাসমান ১৯জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ৮জন মহিলা ও ১১জন শিশু রয়েছে।
খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মইন উদ্দিন খান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। প্রাণে রক্ষা পাওয়া মিয়ানমারের হাইসছুরাতার মন্ডুলার আলী হাইঞ্জনের ওমর হাকিমের পুত্র আয়াতুল্লাহ (২৫)বলেন,উক্ত দূঘর্টনায় তার ছেলে আয়াছ ও মেয়ে রুজিনা,মা গোলজার,খালা,দুই ফুফুসহ মোট ১৫জন মারা গেছে। আরেকটি নৌকা হতে ক‘জন মারা গেছে তা সে জানেনা।
তবে স্থানীয় আব্দুল আমিন মাঝির সহায়তায় আমিসহ ৪জন পুরুষ,৮জন মহিলা ও ৮জন শিশুসহ মোট ২০জনকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। উদ্ধারকৃতরা ডাঙ্গরপাড়ার আব্দুল মজিদের বাড়ি হতে আশ্রয়ে রয়েছে।
প্রাণে রক্ষা পাওয়াদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সচেতনমহল মানবিক সহায়তা দিয়েছেন। এই জাতীয় অমানবিক, লোমহর্ষক ও হৃদয় বিদারক ঘটনায় জনসাধারণের মনে চরম ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
সন্ধ্যা ৭টারদিকে নাফনদী ও সাগর হতে উদ্ধারকৃত ১৯জন নারী-শিশুদের লাশ শাহপরীরদ্বীপ গোরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে বলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন খান জানান।
Posted ১০:১৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta