হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(৭ জুন) :: টেকনাফে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন থেকে বিদ্যুৎ চুরি করতে গিয়ে ট্রান্সমিটার নষ্ট ও বিল পরিশোধের বিষয়ে বির্তকের জেরধরে ভাই-বোনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই সহোদর গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টমটম চালক বড় ভাই আবুজাফর মৃত্যু বরণ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়,৭জুন ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা দক্ষিণ লেদা কুব্বাসপাড়ার আবুল কাশিমের পুত্র আবু জাফর(৪২)চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে গত রাত ১০টারদিকে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে সে স্ত্রী,৫মেয়ে,৩ছেলে রেখে যান। সকালে তার মৃতদেহ সকালে চমেক হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়।
বিষয়টি টেকনাফ পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশের এসআই মুফিজুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর পোর্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেন।
পোস্টমর্টেম শেষে মৃতদেহ বাড়িতে আনা হলে রাত ১০টায় জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।এদিকে এই হত্যাকান্ডের বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার জন্য নিহত পরিবার ও ছেলেদের প্রলোভনে ফেলে দেওয়ায় পরিবার থেকে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে নিহতের স্ত্রী নুর নাহার প্রকাশ বাহারু বলেন,আমার স্বামী দেওয়ালে পড়ে আহত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সে মারা যায়। স্থানীয় মেম্বার নুরুল হুদা জানান,বিদ্যুৎ লাইন ও বিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুজাফর মারা যায় বলে দাবী করেন।
এসআই মুফিজুল ইসলাম জানান,চিকিৎসাধীন ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ব্যাপারে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি।
উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় টমটমে চার্জিং করার জন্য গত ৫জুন বাদে মাগরিব আবুল কাশিমের পুত্র টমটম চালক আবু জাফর (৪২)মেইন সঞ্চালন লাইনে কুড়া মেরে বিদ্যুৎ চুরির সময় বিস্ফোরিত হয়ে ট্রান্সমিটার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পুরো এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।
ট্রান্সমিটার লাগানো ও বিলের টাকা পরিশোধ নিয়ে অপর ভাই আবু সিদ্দিক (৩৮),আবু সৈয়দ (৩৫),সাদ্দাম হোছাইন (২৮)ও বোন ছেবুন নাহার (২৫)মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে দুই সহোদর টমটম চালক আবু জাফর (৪২)ও অটোরিক্সা চালক আবু সিদ্দিক (৩৮)গুরুতর আহত এবং রক্তাক্ত হলে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আবু জাফরের অবস্থার উন্নতি না হলে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেন। পোস্টমর্টেম শেষে রাত পৌনে ৯টারদিকে লাশ বাড়িতে পৌঁছলে নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
Posted ১:৪১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta