হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২৬ আগষ্ট) :: টেকনাফ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশরোধে স্থানীয় প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল নিয়ে বিশেষ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ আগষ্ট দুপুর ১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশরোধে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এক বিশেষ আইন-শৃংখলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন।
বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ,কক্সবাজার স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক আনোয়ারুল নাসের,সহকারী পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা,টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন খাঁন,হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ার,সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন,টেকনাফ পৌর প্যানেল মেয়র কোহিনুর আক্তার,ইউপি মেম্বার জালাল উদ্দিন প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি,পৌর প্যানেল মেয়র মাওঃ মুজিবুর রহমান,টেকনাফ সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল্লাহসহ জনপ্রতিনিধি,পুলিশ ও বিজিবি প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রধান অতিথি বলেন,মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ দেশের জন্য আর্ন্তজাতিক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এদের কারণে আইন-শৃংখলার অবনতিসহ পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। ওপারে সহিংসতার সুত্রধরে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুরা বাংলাদেশে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা আত্মীয়তার সুযোগে কলা-কৌশলে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এই জন্য জিরো পয়েন্টে বসবাসকারী জনসাধারণের উপর নজরদারী বাড়াতে হবে এবং নদী ও স্থলে কোস্টগার্ড-বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশরোধে স্থানীয় জন প্রতিনিধি,আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষকে সতর্ক থেকে নিরাপত্তা জোরদারের আহবান জানানো হয়।
অপরদিকে রোহিঙ্গা পারাপারে সহায়তাকারী দালাল,আশ্রয় দাতা এবং যানবাহনে বহনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৮জন নারী,৫জন পুরুষ ও ৪জন শিশুকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
Posted ১০:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta