হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ :: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে একটি লাশ সাবরাংয়ের খুরেরমুখ সমুদ্রসৈকত থেকে এবং অপর লাশ দুটি বাহারছড়ার বড় ডেইল সমুদ্রসৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া সাবরাং মুন্ডারডেইল এলাকা থেকে মস্তকবিহীন অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লাশটির পরিচয় পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে লাশটি নুর মোহাম্মদ সৈকতের (২২) ।
নিহত নুর মোহাম্মদ সৈকত সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা ছলিম উল্লার ছেলে।
অন্যদিকে বাহারছড়ার সৈকত থেকে উদ্ধার লাশ দুটি সেন্ট মার্টিনে ট্রলারডুবিতে উদ্ধার অভিযানে যাওয়া স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ থাকা দুই ব্যক্তির।
এই দুজনের নাম মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০) ও মোহাম্মদ ইসমাঈল (৩০)।
ফাহাদ সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি, তিনি সেন্ট মার্টিন দক্ষিণ পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে।
ইসমাঈল পশ্চিম কোনারপাড়ার মৃত আজম আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি জানান, সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজতে গিয়ে স্পিডবোটসহ দু’জন নিখোঁজ হয়।
সেই দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
এছাড়া মুন্ডারডেইল এলাকা থেকে নৌকাসহ মস্তক বিহীন অজ্ঞাত একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে এ লাশটি নুর মোহাম্মদ সৈকতের (২২) মরদেহ হতে পারে।
তবে ওই মরদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে নৌ পুলিশ।
গত বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে গোলারচর সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় নুর মোহাম্মদ শওকত নামের একজন নিখোঁজ থাকলে তাঁকে উদ্ধারে গিয়ে পরে স্পিড বোট ডুবিতে নিখোঁজ হন নুর মোহাম্মদ,মো. ফাহাদ শাহিন ও মো. ইসমাইল।
Posted ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta