হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১০ জুলাই) :: দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে বিগত ২০১৬-১৭ইং অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১কোটি ২৫ লক্ষ ১৪হাজার টাকা বেশী রাজস্ব আয় হয়েছে। যা স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর হতে আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড আদায়।
সুত্রে জানা যায়,২০১৬-১৭ইং অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ববোর্ড (এনবিআর) টেকনাফ স্থলবন্দরকে ৭২কোটি ৩৩লক্ষ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।
টেকনাফ কাস্টমস উক্ত নিদের্শনাকে যথাযথ বাস্তবায়ন করে কাস্টমস খাতে ৯৩কোটি ৫৮লাখ ১৪হাজার এবং অগ্রিম আয়করসহ অন্যান্য খাতে ২১কোটি ৮৯লাখ ১৭হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১১৫কোটি ৪৭লাখ ৩১হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১কোটি ২৫লাখ ১৪হাজার টাকা। যার শতকরা ২৩% বেশি।
গত ২০১৫-১৬ইং অর্থবছরে টেকনাফ স্থলবন্দরে ৭১কোটি ২৯লাখ ৫হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিল।
এই ব্যাপারে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা এএসএম মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের নির্দেশনায়,স্থানীয় প্রশাসন,আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বিগত অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১কোটি ২৫লাখ ১৪হাজার টাকা বেশী রাজস্ব আয় সম্ভব হয়েছে। স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর হতে এটিই সর্বোচ্চ বেশী রাজস্ব আয়।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনে সাধারণ স¤পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান,সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের পণ্য চোরাচালান কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসাই অতিরিক্ত এই রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য,১৯৯৫সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সরকার উভয় দেশের সীমান্ত পয়েন্টে চোরাচালান নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে টেকনাফ স্থলবন্দর চালু করা হয়।
Posted ৪:১৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta