কক্সবাংলা ডটকম(৩ জুন) :: নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কোথা থেকে এসেছে তার উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। তবে ট্রেডমার্ক না থাকায় বোঝা যাচ্ছে না অস্ত্রগুলো কোথা থেকে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কোন দেশ থেকে এসেছে, এটা বের করতে পারলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, কে বা কারা ও কি উদ্দেশ্যে এগুলো নিয়ে এসেছে । তাই উৎস বের করার আগ পর্যন্ত জড়িতদের ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি দেশে এসব অস্ত্র তৈরি হয়। দেশ দুটির একটি হলো বাংলাদেশ, আর অন্যটি হলো চীন।ট্রেডমার্ক না থাকায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কোন দেশে তৈরি হয়েছে, তাও বলা যাচ্ছে না। তবে সেটি জানার চেষ্টা চলছে। এজন্য এসব অস্ত্র সেনাবাহিনী ও সিআইডির বিশেষ টিম দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এবং অস্ত্র নিজেদের দখলে রাখার অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- শরিফ খান, শাহীন, রাসেল ও শান্ত। এদের বয়স ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে।’
ডিআইজি বলেন, হৃদয় নামের ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী এক যুবক ডোবায় মাছ ধরতে গেলে একটি বস্তা তার পায়ে লাগে। সে বস্তাটি পারে নিয়ে এসে ভেতরে অস্ত্র পায়। পরে তা শরীফকে জানালে শরীফ আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে ১০টি অস্ত্র নিয়ে যায়। শরিফদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে। বাকি ৫-৬টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে ওই অস্ত্রের সন্ধান চলছে।’
তিনি বলেন, ‘হৃদয় এখন বাংলাদেশে নেই।’ তবে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মূল চালানের সঙ্গে হৃদয় বা শরিফদের কোনও সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে জঙ্গি সংগঠনগুলোর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে এই অস্ত্রের কোনও মিল নেই। তবে চটগ্রামে আটক হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের সঙ্গে এর মিল রয়েছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত ডিআইজি তৌফিকুর রহমান, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুব চৌধুরী, পিবিআই’র এসপি আবুল কালাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন।
Posted ৭:২২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta