কক্সবাংলা ডটকম(৯ জুলাই) :: শক্তিশালী সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে ঢাকায় যৌথ দূতাবাস উদ্বোধন করেছে ফ্রান্স ও জার্মানি। রবিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্ত, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিঞ্জ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ইউরোপ) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগির।
১৯৬৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স ও জার্মান মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ফ্রান্সে ট্রিটি অব দ্য এলিসি নামে পরিচিত। চুক্তি স্বাক্ষরের ৪০ বছর পূর্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে দুই দেশ।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্ত বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমরা খুব খুশি। এই দূতাবাসটি হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে আমাদের যে সুযোগ ও ইচ্ছা ছিল তার প্রতিফলন।
তিনি যোগ করেন, এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণ তারা এটি গত ৫ বছর ধরে একটি একটি পদক্ষেপে যত্নের সঙ্গে নির্মাণ করেছেন। সোফি বলেন, এই দৃষ্টান্তটি এটাই বোঝায় যে আমাদের সম্পর্কটি শুধু শক্তিশালীই নয় বরং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি ডিএনএর উপাদানগুলোকেতো আর আলাদা করতে পারবেন না।
জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রিঞ্জ বলেছেন, একসঙ্গে একটি ভবনে সমন্বিতভাবে কাজ করতে যা করা সম্ভব তার সবই আমরা করেছি। এদিকে সোমবার নতুন দূতাবাসে অলিয়্যাস ফ্রসেজ ডি ঢাকা ও গ্যাটে ইন্সটিটিউটের প্রস্তুত করা ‘প্রেজেন্টেশন অব অ্যা ফ্রাঙ্কো জার্মান জুট প্রজেক্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রদূত।
সোমবার দুপুর ২টা ৩০ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। এছাড়া পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমও উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে।
নতুন ফ্রাঙ্কো-জার্মান পরিকল্পনায় বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপুর্ণ পাটের আশ ব্যবহারের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের দিক উন্মোচন করবে। বাংলাদেশ ভিত্তিক এনজিও ‘জুটল্যাব’ এর সহায়তায় পাট দিয়ে নির্মিত শৈল্পিক আসবাব নির্মাণের এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আটরশিতে জুটল্যাব উদ্ভাবিত রেসিন ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফার্নিচার নির্মাণের এই প্রতিযোগিতা ২০১৬ সালের জুলাইয়ে স্থাপত্য ও চারুকলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
আটজন ফাইনালিস্টকে চূড়ান্ত করা হয়েছিল, এবং প্রতিযোগিতায় জয়ীদের ফরাসি ডিজাইনার অ্যান্তোইন গ্রিপায় এর অধীনে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দুটি দলকে ডিজাইন থেকে প্রোটোটাইপ তৈরি পর্যন্ত দুটি প্রজেক্টে কাজ করানো হয়। পাটের আশ ব্যবহার করে তৈরি উপাদান দিয়ে বাঙ্গালি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায় চেয়ার ও সাইড টেবিল নির্মাণ করা হয়। প্রোটোটাইপগুলো অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হবে।