কক্সবাংলা ডটকম(১৫ জুন) :: তুরস্কের উন্নয়ন সহায়তা বাংলাদেশে কোথায়, কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা তদারকি করতে চায় সরকার। এ ছাড়া ঢাকায় কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইন্টারন্যাশনাল তার্কিস হোপ স্কুলের কর্মকাণ্ড কীভাবে, কাদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে সে ব্যাপারেও অনুসন্ধান করা হবে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ ধরনের মতামত উঠে এসেছে।
তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় ‘ফরেন অফিস কনসালটেন্ট’বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে গত ২৮ মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া ও প্যাসিফিক) মাহাবুবুজ্জামান।
সভায় উপস্থিত সূত্রগুলো জানায়, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখেই সতর্কতার অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। এর ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। বরং বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশটির বিনিয়োগকারীদের জন্য এক বা একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের কথা ভাবা হচ্ছে। দুই দেশের মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়েও সভায় ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানায় সূত্র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সভার কার্যবিবরণী গত ৩১ মে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিনিধির বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, তুরস্ক সরকার ও সে দেশের কিছু এনজিও বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা এসব কার্যক্রম ইআরডির মাধ্যমে না করে সরাসরি স্থানীয় এনজিও/সংস্থার মাধ্যমে করে থাকে।
বাংলাদেশে তুর্কি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তার্কিস ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (টিকা) এসব কার্যক্রম সমন্বয় করে। টিকা ঢাকায় তাদের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেশন অফিস স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি চেয়েছিল।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিবাচক মতামত দিলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তুর্কি সংস্থা ও এনজিওর কার্যক্রম সম্পর্কে নেতিবাচক মতামত পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় টিকার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে সরকারের তদারকির আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মত দেন ইআরডি প্রতিনিধি।
সভায় ঢাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল তার্কিস হোপ স্কুলের বিষয়েও আলোচনা হয়। ওই স্কুলে তুরস্ক থেকে আগত যেসব শিক্ষক বা ব্যক্তি কর্মরত আছেন, তাদের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশে থাকার বৈধতার বিষয়ে একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত) মাহাবুবুজ্জামান সভায় জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা যেমন— শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ সবার মতামত ও আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তুরস্ক সরকারের মতামতও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে।
Posted ৩:১৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta