কক্সবাংলা ডটকম(৬ জুন) :: বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে কল-কারখানার সংখ্যা। কল-কারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। দূষণ ঠেকাতে সম্প্রতি উচ্চাভিলাষী এক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, ২০৩০ সাল নাগাদ কেবল বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি বিক্রি করবে ভারত। খবর সিএনএন।
দূষণ কাটিয়ে উঠতে বর্তমানে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বিশ্বের অন্যতম দূষণাক্রান্ত দেশ ভারত। সবুজ ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে গ্যাসচালিত গাড়ির পরিবর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ভারত সরকারের ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রিক মোবিলিটি মিশন’ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সাল নাগাদ ৬০-৭০ লাখ বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি বাজারে ছাড়া হবে।
সম্প্রতি ভারতের জ্বালানিমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, প্রথম কয়েক বছর বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে সরকার ভর্তুকি প্রদান করবে। পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে ছাড়া হলে গাড়ি তৈরির খরচ অনেকটাই প্রস্তুতকারকদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ভারতের ক্রমবর্ধমান গাড়িবাজার শুধু স্থানীয় গাড়ি প্রস্তুতকারক নয় বরং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্ত এসব গাড়ি প্রস্তুতকারকদের ভারতে কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে আরো আগ্রহী করে তুলবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা ভারতে কার্যক্রম শুরু না করলেও নিকট ভব্যিষতে দেশটির বাজারে প্রবেশের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার টুইটারে এক বার্তায় ভারতের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন তিনি। এদিকে টেসলার কার্যক্রম শুরুর আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভারত।
এমনকি টেসলাকে স্থানীয় বাজারে প্রতিযাগিতা সৃষ্টির আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা মাহিন্দ্রার প্রধান আনন্দ মাহিন্দ্রা। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়িবাজারে যত বেশি প্রতিযোগিতা বাড়বে, তত বেশি সবুজের দিকে এগিয়ে যাবে ভারত।
Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy