মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২১ মে) :: উখিয়া উপজেলার লাগোয়া ঘুমধুমের গর্জবনিয়া নাইক্ষংছড়ি উপজেলাধিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছৈয়দ হামজাসহ ৪ জন শিক্ষক বেতন পাচ্ছেনা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে।
নীতি নৈতিকতায় এসব দরিদ্র শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত পাঠদান করলেও পারিবারিক অভাব গোছাতে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ জানালেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে।
সরেজমিন, পাহাড়ি জনপদ ঘুমধুমের প্রত্যন্ত এলাকা গর্জবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ ছৈয়দ হামজার সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯২ সালে উপজাতি অধ্যূষিত অজপাড়া গাঁ গর্জবনিয়া এলাকায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষকেরা বেতন ভাতা পায়নি। ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব অনটনে মানবেতর দিনযাপন করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নরেন তনচইংগ্যা ও সঞ্জিব তনচইংগ্যা জানায়, বিদ্যালয়ের বাথরুম ও খাবার পানি সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দূভোর্গ মাথায় নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে হয়েছে। তারপরেও উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তাদের বেতন ভাতাগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপেন্দ্র লাল কারবারি জানান, বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক ও শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষকেরা বেতন না পাওয়ার কারণে কর্তব্য কাজে তারা নিরুৎসাহ হয়ে পড়েছে। তিনি শিক্ষকদের বেতন ভাতা পরিশোধের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ বীর বাহাদুর এমপি’র হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা সদস্য শ্রী মতি ছিংমে জানান, গর্জবনিয়া স্কুলটি সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষকদের বেতন ভাতা পাওয়ার ব্যাপারে ইতিপূর্বে মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, জেলা পরিষদ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলেও বিদ্যালয়ে খাবারপানি ও আসবাবপত্র সংকট বিদ্যামান থাকায় পড়ালেখার মান উন্নয়ন হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকার পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শিক্ষার মান উন্নয়নে অধিকতর বরাদ্ধ রাখলে গর্জবনিয়া স্কুলটি সরকারের এ উন্নয়ন ধেকে বরাবরই বঞ্চিত হয়ে আসছে। এ নিয়ে জনমনে প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন উঠেছে।
এব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, গর্জবনিয়া স্কুলের ফাইলটি জেলা পরিষদে আটকে রয়েছে। এখানে আমার করার কিছু নেই।
Posted ৫:০৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta