মাঈনুদ্দিন খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(২৪ জুন) :: পাবর্ত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড়ি পল্লী গুলোতে পবিত্র ঈদের আনন্দের জোয়ার বইছে। উপজেলার দেড় শতাধিক মুসলিম গ্রামের লোকজন রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে ছুটাছঠি করছে পাহাড়ি এলাকার বাজার গুলাতে। কমবেশী সবাই একই বাজারমূখী গত সপ্তাহ ধরে।
এখানকার অধিকাংশ লোক গরীব হলেও তারা বাজারে নতুন পোষাক কিনতে ভিড় করছে উপজেলার সর্বত্র। বিশেষ করে শিশুদের পোষাকের বাজার এখন জমজমাট।
সরেজমিন গিয়ে আাে জানা যায়, উপজেলার হাট-বাজার রয়েছে ৬টি। ইউনিয়ন পর্যায়ের এ সব বাজার গুলো হলো: নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের হাজি ছালেহ আহমদ বাজার,চাকঢালা বাজার, বাইশারী ইউনিয়নের বাইশারী বাজার,ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘুমধুম বাজার,তুমরু বাজার ও দৌছড়ি ইউনিয়নে দৌছড়ি বাজার। এ সব বাজারের এখন সেমাই, চিনি, নারিকেল,কিসমিস,ভোজ্যতৈল দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।
বিশেষ করে পোষাকের বাজার এখন জমজমাট। ক্রেতারা জানান,প্রতিটি জিনিসের দাম মনগড়া। একই জিনিস একেক দোকানে একেক দর।আর মানেও নি¤œ।
নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহমদ বাজারে ঈদের পোষাক কিনতে আসা, মো: আবদুল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান,তার বাড়ি বাকঁখালী মৌজার চিকনছড়ি এলাকায়। ৮ মাইল হেটে সে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর বাজারে এসেছেন। তার ৪ ছেলে-মেয়ে ও এক স্ত্রী।
এ ঈদে সবার জন্যে নতুন জামা নিতে হবে। পেশায় কৃষক হলেও প্রতিবছর রমজানের ঈদে নতুন জামা কাপড় কিনে সে। সে আরো জানায়, এবছরও সে অনুরূপ কাপড় কিনতে এসেছেন,এ বাজারে।
এবারের ঈদে মধ্য ও তরুনদের জামা-কাপড়ের দাম বেশী মনে হচ্ছে তার কাছে। এ বয়সের পোষাকে প্রতিটির পেছনে ২ থেকে ৪ শত টাকা বেড়েছে দাম।
বাইশারী ইউনিয়নের বাইশারী বাজারে আসা গৃহীনি সাবেকুন্নহার জানান, পোষাকের পাশাপাশি কসমেটিকস সামগ্রিতে দাম হাকছে বেশী। সাবেকুন্নহার এ প্রতিবেদককে জানান,তবু আনন্দ এবারের ঈদে।
পার্বত্যাঞ্চলের অন্যান্য স্থানে প্রকৃতিক দূর্যোগ- পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও নাইক্ষ্যংছড়িতে বিধাতার সুদৃষ্টিতে হয়নি। কারো মায়ের কোল খালী হয় নি। এ কারণে এখানকার মানুষ পূর্বের মতো ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে প্রস্তুত।
অপর দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী আবদু সওদাগর জানান,অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরের মার্কেট অনেক ভাল। সূলভ মূল্যে সব কিছু পাওয়া যাচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি, পাহাড় ধসের ঘটনা না ঘটনায় লোকজন নিজনিজ অবস্থান থেকে আনন্দ ভাগাভাগিতে মতোয়ারা।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল জানান, আসলে অনেক ভয় ছিল সর্বত্র। পাহাড়ি জনপদে পাহাড় ধসের ঘটনার আশংকায় একটু চিন্তিত ছিলেন তিনি। তিনি আরো জানান, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে নাইক্ষ্যংছড়িতে তেমন কোন দূঘটনা ঘটে নি।
তাই ঈদের খুশিতে ভাগ নিতে পারে নি বিষাদ। তবে তিনি শোকাহত রাঙ্গামাটি সহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে মারা যাওয়াদের বিষয়ে। এসব মৃতদের পরিবারের প্রতি বিশেষ সমবেদনাও জ্ঞাপন করেন একই সাথে তিনি।।
Posted ৫:৩০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta