
মাঈনুদ্দিন খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(১৫ আগষ্ট) :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে র্যালী,রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও মসজিদে-মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
উপজেলায় ১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টায় বিশাল র্যালিতে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু প্রেমিকরা। এরপর রচনাও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় আলোচনা সভাও পুরস্কার ও আলোচনা সভা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম সরওয়ার কামালের সভাপতিত্বে এবং বি,আর ডি, বি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দীন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আগষ্ট মাস বাঙ্গালি জাতির জন্য শোকের মাস। এ ম্যাসেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যারা সেদিন এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।
পরবর্তীতে তারাই জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এখনও স্বোচ্ছার সেই অপশক্তিটি। তারা ২১ শে আগষ্টে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সেদিন শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাকে। যার জন্যই আজ বাংলাদেশ বিশ^ দরবারে এগিয়ে চলেছে।
বক্তারা আরও বলেন, সেদিন যদি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তারা হত্যা করতে পারত, তাহলে আবার রাজত্ব করত সেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম তৌহিদ কবির, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা অধ্যাপক এম, শফি উল্লাহ, পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রির বিশেষ প্রতিনিধি আল হাজ্ব খাইরুল বাশার,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ আবু তাহের,সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, সদস্য সচিব মোঃ ইমরান মেম্বার, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ তারেক রহমান, মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জুহুরা বেগম,সাধারণ সম্পাদক ওজিফা খাতুন রুবী, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন মামুন শিমুল, স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি মোঃ আব্দু সাত্তার ও শ্রমিকলীগের সভাপতি জহির উদ্দীন প্রমূখ।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১৫ আগষ্ট পালন
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। গতকাল ১৫ আগষ্ট সকালে পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিত করন,বঙ্গবন্দুর ভাষন প্রচার । বেলা সাড়ে ১১ টার পরপর আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের জন্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মৌলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাত বাষির্কীতে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পরিষদের মেম্বার জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোছাইন,কচ্ছপিয়া কে.জি স্বুল ও কচ্ছপিয়া আর্দশ হেফজখানা ও এতিমখানার প্রতিষ্টাতা সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ,ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা জামাল আহমদ, ইউপি সচিব মিল্টন বিশ্বাস,আবুল কালাম মেম্বার, মহিলা মেম্বার যথাক্রমে ইয়াছমিন আক্তার মুন্নি, সাবেকুন্নাহার,তামান্না বেগম ও দফাদার আবদুল মান্নান প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,বাংলাদেশের স্থপতি ও রূপকার জাতীরজনক বঙ্গবন্ধু না হলে এদেশ আমরা পেতাম না। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি এ দেশকে পাকিস্থানমূক্ত করেন। দেশের মানুষ একটি লাল সবুজের পতাকা পায়। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয় তখন। আর এ স্বাধীন দেশের রাষ্টপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের এ দিনে নিমর্মভাবে হত্যা করে স্বার্থপরের দল । সাথে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকেও। শিশু রাশেলকে হত্যা করা হয় অতি নিমর্মভাবেই। যা বিশ্বের ইতিহাসে অমলিন হয়ে রয়েছে।
তারা আরো বলেন,আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হয়ে গেছে অথচ এদেশের মানুষ এ স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ স্বাদ উপভোগ করতে পারে নি,পারছেও না। চর্তুদিকে লুটে খাওয়ার দল সবকিছু খেয়ে সর্বশেষ দেশের মান চিত্র খাওয়ার তালে সর্বত্র বিচরণ করছে।
তারা স্বাধীন দেশের মানুষকে ভালবাসে কি-না কেউই বুঝতে পারে না। তবে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, তাদের আসল চাহিদা ক্ষমতা আর টাকা,দেশ ও দেশের মানুষ নয়। আজ তাদের বুঝতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী কিছু না,সবই অস্থায়ী । সুতারাং যতসব মন্দকাজ আছে তা বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনের মাধ্যমে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে এ দেশে। তখনই বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা
রামুর ঐতিহ্যবাহি গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাত বাষির্কী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে।১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে
পতাকা অর্ধনমিভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন এ দিবস পালনে।
সকাল ৮ টায় কোরআনখানি সকাল ৯ টায় রচনা প্রতিযোগিতা ও ১০টায় আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার।
মাদ্রাসা মিলনায়তনে অধ্যক্ষ মৌলানা মুহম্মদ আইয়ুব এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এ সভ্য়া বক্তব্য রাখেন,বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মৌলানা আবু তাহের,মৌলানা নুরুল ইসলাম,মৌলানা মফিজুর রহমান,মৌলানা ফারুখ আহমদ, ,মাস্টার শামশুল আলম,মাস্টার সেলিম উদ্দিন,মাস্টার মাহবুর রহমান, মৌলানা আনসারুল্লাহ,মৌলানা সিরাজুল ইসলাম, মৌলানা নুরুল্লাহ ও মৌলানা আবু ইউছুপ প্রমূখ। সভায় মহান এ নেতা ও তার পরিবারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Posted ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta