হাবিবুর রহমান সোহেল, নাইক্ষ্যংছড়ি(১৯ জানুয়ারী) :: নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের সিমান্ত নোমেন্স ল্যান্ডের সাপমারাঝিরি একটি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্ত করায় এখন শূন্য কোটায় পরিণত হয়েছে।
সূত্রে জানাযায়, গত রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আশারতলী এলাকার সাপমারাঝিরি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে কোন রখম আনুষ্টানিক ছাড়াই কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যুগ্ন সচিব মোঃ শামশুজ্জুহা।
এই স্থানান্তর প্রক্রিয়াটি পাঁচ দফায় যথাক্রমে ১৯৯,২০৮,৬১০, ৬২৫ সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ৬০৬ জনসহ মোট ২২৪৯ জনকে সরিয়ে ওই এলাকাটি রোহিঙ্গা শূন্য করা হলো।
এসব কার্যক্রমে সার্বিক সাহযোগিতা করেছে রেড ক্রিসেন্ট ও রেড ক্রস। ইতোপূর্বে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট থেকে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয় কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স¤প্রতি রোহিঙ্গা ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের সাথে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে দ্রুতগতিতে পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসরত রোহিঙ্গাদেকে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্বত্য অঞ্চল থেকে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সাপমারাঝির ক্যাম্পের ২২৪৯ জনকে সরিয়ে নিতে চার দিনের মত কর্যাক্রম চালাতে হয়েছে দায়িত্বরত কর্মীদের।
এরপরও যদি ওই সীমান্তে কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করে বা সন্ধান মেলে তাহলে কাউকে আশ্রয় না দিয়ে উখিয়া শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তবে আগামী ২০দিনের মধ্যে সাপমারাঝিরি, বড়ছনখোলা, বাহিরমাঠ ও কোনারপাড়া সীমান্তের নোমেন্স ল্যান্ড থেকে ১৬ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে।
সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ৩১ বিজিবির জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল আনোয়ারুল আযীম জানান, রোহিঙ্গা শুন্য হওয়া এলাকায় ইতোপূর্বে বিজিবির কঠোর পাহারা ছিল এবং আছে। পুনরায় ওই এলাকায় রোহিঙ্গা বসতি গড়ার কোন সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরের শেষের দিকে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর দমন নিপীড়ন শুরু হলে ২৫ অক্টোবর থেকে সাপমারাঝিরিসহ নাইক্ষ্যংছড়ির বেশ কয়েকটি পয়েন্টে হাজার হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ে। সে সময় মানবিক কারণে নোমেন্স ল্যান্ডের সাপমারাঝিরি, বাহিরমাঠ, বড়ছনখোলা ও তুমব্রæর কোণারপাড়ার চারটি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় সরকার।
পরবর্তী সময়ে কিছু রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্যত্র চলে গেলেও সাপমারাঝিরি ক্যাম্পে শেষ পর্যন্ত ২২৪৯ জনকে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়।