বৃহস্পতিবার শরিফুল তিনটি মাদক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যান। ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের টিম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে।
শরিফুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রূপগঞ্জ উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ব্লু সিটি এলাকায় মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে খনন করে দুটি এসএনজি উদ্ধার করা হয়। পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল স্বীকার করে, উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরে আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুদ রয়েছে।.
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কোনও অপরাধীচক্র এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোরাবারুদ এনে থাকতে পারে। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। ওই ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের হাতে আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে। কারা কী কারণে কী উদ্দেশ্যে এই গোলাবারুদ মজুদ করেছে, তা শিগগিরই জানা যাবে।’
ঘটনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক।
রূপগঞ্জের ৫ নম্বর সেক্টরে ঘটনাস্থলের কাছে প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন আইজিপি। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে রূপগঞ্জ থানার এসআই শাজাহানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বগলা গ্রামে শরিফুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানে একটি এম সিক্সটিন রাইফেল উদ্ধার করা হয়। তবে শরিফুলকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পরে শরিফুলের দেখানো পথে ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকে তল্লাশি চালানো হয়। লেক থেকে দড়ি দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা একটি ব্যাগ দেখতে পায় পুলিশ। পরে পুলিশ ওই দড়ি টেনে একে একে আটটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বিশেষভাবে মোড়ানো বাকি ৬০ এসএমজি উদ্ধার করে। রাতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এনে ওই লেকে তল্লাশি চালিয়ে বাকি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।.
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কোনও অপরাধী চক্র এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোরাবারুদ এনে থাকতে পারে। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। ওই ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে এই সব অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের হাতে আরও অস্ত্র-গোলাবারুদ আছে কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে। কারা কী কারণে কী উদ্দেশ্যে এই গোলাবারুদ মজুদ করেছে তা শিগগিরই জানা যাবে।’
ঘটনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক।
Posted ১২:৩২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta