কক্সবাংলা ডটকম(৭ আগস্ট) :: জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর রহস্য নিয়ে এক অনলাইন ভিডিও বার্তায় বোমা ফাটিয়েছেন সালমান হত্যা মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামি আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি রাবেয়া সুলতানা রুবি।
সেই ভিডিও বার্তাটি সোমবার ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশি ও বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে ২১ বছর পর ফের নতুন করে সালমান মৃত্যুর রহস্য ভীষণভাবে আলোচনায় আসলো।
ওই ভিডিও বার্তায় রাবেয়া সুলতানা রুবি বলেন, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছিল। সে আত্মহত্যা করেনি।
রুবির স্বামী জ্যানলিন চ্যান, ছোট ভাই রুমী, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।ভিডিওতে তাকে বেশ আতঙ্কগ্রস্ত দেখা গেছে। এ সময় নিজেকে বাঁচানোর আকুতি জানান রুবি। তবে কোথা থেকে ভিডিওটি আপলোড করেছেন তা বলেননি তিনি।
ভিডিওতে তিনি বলেন, সালমান শাহ্ আত্মহত্যা করেনি, সে খুন হয়েছে। আমার হাজব্যান্ড আমার ভাইকে দিয়ে এটা করিয়েছে। সামিরার ফ্যামিলি এটা করিয়েছে আমার ভাইকে দিয়ে। বাকিরা সব চাইনিজ মানুষ। আমি রুবি, এখানে ভেগে এসেছি। এই কেস (মামলা) যেন শেষ না হয়। আমি যেভাবে পারি ঠিকমতো যেন সাক্ষী দিতে পারি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমাকেও খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দয়া করে আমার জন্য দোয়া করেন, আমি ভালো নাই। আমি কী করব আমি জানি না, শুধু এইটুকু জানি- সালমান শাহ্ মানে ইমন আত্মহত্যা করেনি। তাকে সামিরা, আমার স্বামী ও সামিরার পরিবারের সবাই মিলে খুন করেছে। প্লিজ কিছু করেন।
সালমানের মা নীলা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে রাবেয়া সুলতানা রুবি বলেন, নীলা ভাবি, আপনার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমি ভেগে আসছি। না হলে ওরা সবাই মিলে আমাকেও মেরে ফেলতো।
রুবির ওই ভিডিও বার্তা নিয়ে সালমানের মা নীলা চৌধুরী সোমবার ইংরেজি বর্ণে লেখা বাংলায় একাধিক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘প্রিয় দেশবাসী। আমাকে সাহায্য করুন। দেখুন, রুবি সুলতানার স্বীকারোক্তি। কীভাবে সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। যেভাবে পারেন এফবিআইকে জানান, বাংলাদেশের সব চ্যানেলকে অনুরোধ করছি রুবির স্বীকারোক্তিটা চালিয়ে দেন।’
নীলা চৌধুরী বলেন ‘প্রিয়জন, খেয়াল রাখবেন এই নিউজের পর অনেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। শান্তভাবে কাজ করবে।’
সালমানের স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সে দিকেও নজর দিতে অনুরোধ জানিয়েছে প্রয়াত নায়ক সালমানের মা নীলা।
উল্লেখ্য, রাবেয়া সুলতানা রুবির সঙ্গে সালমান পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল। রুবিকে সালমান শাহ খালা বলে ডাকতেন। সালমানের রহস্যজনক মৃত্যুর পর অভিযোগের তীর রুবির দিকে তীব্রভাবে উঠে। একপর্যায়ে রুবি আমেরিকায় পাড়ি জমান।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ’র মৃত্যু হয়। তখন জনপ্রিয় এ নায়কের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এরপর ১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই রিজভি আহমেদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বাসায় অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ এনে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন সালমানের বাবা।
ওই মামলায় গ্রেফতার করা হলে রিজভি আদালতে দাবি করেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে। এ হত্যায় সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তার শাশুড়ি লতিফা হক, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই জড়িত।
১৫ বছর ধরে চলেছে সালমান শাহ হত্যা মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত। সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।
নায়ক সালমানকে খুন করা হয়েছে ! আসামি
জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যু রহস্য এবার নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। সালমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমেরিকা প্রবাসী রাবেয়া সুলতানা রুবি রোববার ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন,সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছিল।
রুবির স্বামী জ্যানলিন চ্যান, ছোট ভাই রুমী, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। ভিডিওতে তাকে বেশ আতঙ্কগ্রস্ত দেখা গেছে। এ সময় নিজেকে বাঁচানোর আকুতি জানান রুবি। তবে কোথা থেকে ভিডিওটি আপলোড করেছেন তা বলেননি তিনি।
ভিডিওটিতে রাবেয়া সুলতানা রুবি বলেন, সালমান শাহ্ আত্মহত্যা করেনি, সে খুন হয়েছে। আমার হাজব্যান্ড আমার ভাইকে দিয়ে এটা করিয়েছে। সামিরার ফ্যামিলি এটা করিয়েছে আমার ভাইকে দিয়ে। বাকিরা সব চাইনিজ মানুষ। আমি রুবি, এখানে ভেগে এসেছি। এই কেস (মামলা) যেন শেষ না হয়। আমি যেভাবে পারি ঠিকমতো যেন সাক্ষী দিতে পারি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমাকেও খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দয়া করে আমার জন্য দোয়া করেন, আমি ভালো নাই। আমি কী করব আমি জানি না, শুধু এইটুকু জানি- সালমান শাহ্ মানে ইমন আত্মহত্যা করেনি। তাকে সামিরা, আমার স্বামী ও সামিরার পরিবারের সবাই মিলে খুন করেছে। প্লিজ কিছু করেন।
চাইনিজদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এরা কী মানুষ আপনারা জানেন না। আমি এখানে ভেগে এসেছি। দয়া করে আপনারা কাউকে জানান। আমার ছোট ভাই রুমীকে দিয়ে সালমানকে খুন করানো হয়েছে। পরে রুমীকেও খুন করানো হয়েছে। আমি জানি না রুমীর কবর কোথায়। রুমীর লাশ তুলে যদি আবার পোস্টমর্টেম করা হয় তাহলে দেখা যাবে, তাকেও খুন করা হয়েছে। এর সঙ্গে আমার খালু মমতাজ হাসান আছে, খালাতো ভাই জুম্মাও থাকতে পারে।
নিজ স্বামীর পরিচয় তুলে ধরে রুবি বলেন, আমার হাজব্যান্ড জ্যানলিন চ্যান বাংলাদেশে পরিচিত ছিল জন চ্যান নামে। সে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে সাংহাই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক ছিল। আমিই শেষ ব্যক্তি যে কি-না সালমান শাহ খুনের বিষয়ে জানি। আমি এটা প্রমাণ করতে পারব ইনশাল্লাহ। দয়া করে একটু সাহায্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এরা বাসার মধ্যে আমাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সুযোগ করতে পারেনি। আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি আমাকে খুন করতে চাও, না? ও আমাকে বলেছে, তোকে তো খুন করলে সেই কবেই করতাম। আসলে এটা আমি জানি যে, ও আমাকে খুন করতে চায়, কারণ আবার কেসটি (সালমান শাহ হত্যা মামলা) ওপেন হয়েছে। প্লিজ দয়া করে কিছু করেন।
সালমানের মা নীলা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে রাবেয়া সুলতানা রুবি বলেন, নীলা ভাবি, আপনার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমি ভেগে আসছি। না হলে ওরা সবাই মিলে আমাকেও মেরে ফেলতো।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ’র মৃত্যু হয়। তখন জনপ্রিয় এ নায়কের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এরপর ১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই রিজভি আহমেদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বাসায় অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ এনে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন সালমানের বাবা। ওই মামলায় গ্রেফতার করা হলে রিজভি আদালতে দাবি করেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে।
এ হত্যায় সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তার শাশুড়ি লতিফা হক, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই জড়িত।
১৫ বছর ধরে চলেছে সালমান শাহ হত্যা মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত। সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।