বুধবার ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বুধবার ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নিত্যপণ্যের বাজার আবারও বেসামাল : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪
51 ভিউ
নিত্যপণ্যের বাজার আবারও বেসামাল : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম

কক্সবংলা ডটকম(১ জুন) :: ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে নাকাল দেশবাসী। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ আর অজুহাতে বেসামাল হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মাছ, মাংস, ডিম, আলুসহ সব সবজির দাম।

অন্যদিকে, ঈদুল আজহা যত ঘনিয়ে আসছে, মসলার বাজার ততই অস্থির হয়ে উঠছে। ধাপে ধাপে বাড়ছে বিভিন্ন মসলার দাম। সবশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুনের দাম। পাশাপাশি এলাচ, লবঙ্গ ও জিরাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে বেড়েই চলেছে সবজির দাম। ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েই চলেছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

মসলার বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরো মসলার বাজারই এখন সিন্ডিকেটের কবলে। গত এক সপ্তাহে জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি হওয়ায় এ মুহূর্তে বাজারে মসলার কোনো সংকট নেই। এরপরও মসলার প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মসলা ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সে তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ দানা, জিরা, লবঙ্গ, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা।

বাজারে খুচরা ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। আর ভালো মানের বড় এলাচ প্রতি কেজি ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৮০০ টাকায়।

লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম বেড়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে মান ভেদে ৫৫৭ টাকায়, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। গোলমরিচ প্রতি কেজি হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজি দারুচিনি ৭০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা, কালিজিরা ৪০০ টাকা, কিশমিশ ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা আর সাদা সরিষা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এসবের কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকায়।

এদিকে, সবজির বাজারে ছোট সাইজের লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে অথচ গত সপ্তাহেও এর দাম ছিল ৩০ টাকার আশপাশে। এ ছাড়া ৫০ টাকার বেগুন প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। প্রতি হালি কাঁচাকলা ৪০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, জালি কুমড়া ৪০ টাকা পিস, পুঁইশাক ৪০ টাকা আঁটি, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি, করলা ৬০ টাকা কেজি, লেবু ২৫-৩০ টাকা হালি, টমেটো ৭০ টাকা কেজি, পটল ৫০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৭০ টাকা কেজি।

গত সপ্তাহে যে আলু বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে।

ফার্মের লাল লেয়ার মুরগির দাম ট্রিপল সেঞ্চুরি পার করে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা করে। আর ব্রয়লার ২২০ টাকা। তবে আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি আর খাসি ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারের চিত্রও একই। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বেড়েছে মাছের দামও। এক কেজি ওজনের বড় ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজি আর মাঝারি সাইজের ইলিশ ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি, কার্ফু মাছ ৩৫০ টাকা কেজি, রুই আকারভেদে ৩৫০-৪৫০ টাকা প্রতি কেজি, পাঙাশ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা কেজি, বড় চিংড়ি কেজি ১১০০ টাকা, গুলশা মাছ ১০০০ টাকা কেজি, টেংরা ৮০০ টাকা কেজি, কই মাছ ২৫০ টাকা কেজি, শিং ৪০০ টাকা কেজি এবং কাচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর নয়াবাজারের মসলা বিক্রেতা মো. শাকিল বলেন, ‘পাইকারি দোকান থেকে পণ্য কিনে এনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করি। দাম বাড়তি থাকলে আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হয়। বিক্রিও করতে হয় বাড়তি দামে। কিন্তু ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। অভিযান পরিচালনা হলেও আমাদের এসে জরিমানা করে। আমরা অনেক সমস্যায় আছি।’

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর রোজা ও রোজার ঈদ এমনকি কোরবানির ঈদে ব্যবসায়ীরা একেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যেখানে ধর্মীয় উৎসবে ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে অন্যান্য দেশ পণ্যের দাম কমায়, আর এ দেশে ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা করতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করে। এটা কোনোভাবেই ঠিক না। আর এগুলো দেখার যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে, তারাও বাজারে তদারকি করছে। কিন্তু দাম কোনোভাবে ক্রেতাসহনীয় করা যাচ্ছে না। এ জন্য দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তা প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।’

রাজধানীর মহাখালীর বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। এখন বাজারে ৫০/৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। সবজিসহ অন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে কষ্ট যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুর বোঝা গিয়ে পড়ে সাধারণ ক্রেতার ওপর।’

51 ভিউ

Posted ৪:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : Shaheed sharanee road, cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com