কক্সবাংলা ডটকম(২ আগস্ট) :: তথ্য-প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায় মামলা করতে পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
তিনি বলেন, ৫৭ ধারায় মামলা করতে হলে পুলিশ সদরদপ্তরের আইন শাখার পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া এই ধারায় কেউ মামলা করতে পারবে না।
আজ বুধবার আইজিপির সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে দেশে ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সময় আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন যে, ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করতে হলে পুলিশ সদর দপ্তরের আইন শাখার পরামর্শ নিতে হবে। সারাদেশে এ নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি কালাকানুন বলে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন মহল। বাংলাদেশের এই আইনের সমালোচনা চলছে।
এ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।
পুলিশের সদরদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ৫৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটন সংক্রান্তে মামলা রুজুর বিষয়ে গণমাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রচারিত বা প্রকাশিত হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন থানায় এ ধারায় রুজুকৃত মামলার ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা ও নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য কিছু সুপারিশ মেনে চলতে হবে।
আইজিপি বলেন, ৫৭ ধারায় সংঘটিত অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রুজুর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; অভিযোগ সম্পর্কে কোনরূপ সন্দেহের উদ্রেক হলে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে যাচাই বাছাই করতে হবে; মামলা রুজুর পূর্বে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আইন শাখার সাথে আইনগত পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং কোন নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
Posted ৮:৫৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta