এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকার পৈতৃক ভোগদখলীয় লবণ মাঠ জবরদখল করতে হামলা চালিয়ে মালিকপক্ষের নারীসহ ৯ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের মধ্যে আবদুর রশিদ, রমজান আলী, দিদারুল ইসলাম, হামিদুর রহমান ও মোস্তফা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
বুধবার দুপুরে মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকার বিএস ৮১১ নম্বরে খতিয়ানের বিএস ১৫৭ ও ১৫৯ দাগের লবণ মাঠের জমিতে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
আহতরা হলেন মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা রাজধানী পাড়ার মৃত মোজাহেরুল হকের ছেলে আবদুর রশিদ (৫০), জামাল হোসেনের স্ত্রী মোস্তফা বেগম (৪৫), মোজাহের মিয়ার ছেলে রমজান আলী (৩৩), হাবিবুর রহমান (২৭), রেজাউল করিমের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৪০), এহেছানুল করিম (২৫), জসিম উদ্দিন (৩৬) ও দিদারুল ইসলাম (৩৫) ও হামিদুর রহমান (২৭)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) লবণ মাঠের জমির মালিক মোজাহের মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় ১৩ জনের নামোল্লেখ করে আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
এজাহারে আসামি করা হয়েছে নাজেম উদ্দিন, আবুল বশর, আজিম উদ্দিন, মুফিজুর রহমান, মনজুর আলম, আমির হামজা, সোহেল, রাকিব, জোসনা আক্তার, জন্নাত আরা, খতিজা বেগম হানচু, খুকি, ইদ্রিছ।
আসামিদের মধ্যে মুফিজুর রহমান ও মনজুর আলম মগনামা ইউনিয়নের জাবের হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
এজাহারে বাদি রেজাউল করিম জানান, মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকার উল্লেখিত লবণ মাঠের জমি তাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি।
দীর্ঘ বছর ধরে আমরা উক্ত লবণ মাঠ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলে থেকে চাষাবাদ করে আসছি। পক্ষান্তরে অভিযুক্ত আসামিগনের উক্ত জমিতে কোন বৈধ মালিাানা নেই।
এ অবস্থায় সর্বশেষ গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এজাহারনামীয় আসামিরা ধারালো দা, কিরিচ, লোহার রড, হাতুড়ি সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে দলবদ্ধ হয়ে আমাদের উক্ত লবণ মাঠের জমি জবরদখল চেষ্টায় হামলা চালায়।
এসময় আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের বাঁধা দিই। এ অবস্থায় আসামিরা আমাদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে লবণ মাঠ দখলে নিতে ত্রাসের রাজত্ব চালায়।
হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এসময় আমার বোনের জামাতা আবদুর রশিদ, বোন মোস্তফা বেগম, আমার দুই ভাই রমজান আলী, এহেছানুল করিম, বোন জাহেদা বেগম ও আমার স্ত্রী রোকসানা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করেছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, লবণ মাঠের জমি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এব্যাপারে দু’পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta