সংবাদ বিজ্ঞপ্তি(১০ জানুয়ারী) :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাছারীমোড়া প্রিমিয়ার লিগের (কেপিএল) দশম আসরের প্রথম রাউন্ডের ৯ম খেলায় পেকুয়া সদরের কামরান জাদিদ মুকুটের ম্যাগপাই বয়েজ শিলখালীর ছৈয়দ আলমের দ্যা বুল্সের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি।
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় কেপিএল মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় নয় উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হয় ম্যাগপাই বয়েজ।
বিকেল তিনটায় দুই দলের মধ্যে টস করেন অ্যাম্পায়ার সুজিত দাশ ও নুর মোহাম্মদ মামুন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নির্ধারিত ১২ ওভারের খেলা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাগপাই বয়েজের অধিনায়ক মোস্তাকিম। ম্যাগপাইয়ের ওপেনার হিসেবে মাঠে নামেন অধিনায়ক মোস্তাকিম ও দলের বিদেশী খেলোয়াড় আমির আবদুল্লাহ। আমির আব্দুল্লাহ একটি চার ও একটি সিঙ্গেল রান নিয়ে বোল্ড হয়ে যান দ্যা বুলস্রে ওসমানের বলে।
মাঠে নামেন আরাফাত। তিনিও একটি চার ও দুইটি সিঙ্গেল রান নিয়ে ওসমানের বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর মাঠে আসেন আইয়ুব। তিনি শূণ্য রানে আউট হলে রাসেল মাঠে আসেন। তিনিও শূণ্য রানে আউট হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। মাঠে নামেন এরফান। তিনি তিন রান নিয়ে জুবাইরের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
এরপর ক্রিজে আসেন হার্টহিটার ব্যাটসম্যান শাহেদ জলিল। তিনি পর পর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৮ রান সংগ্রহ করেন। দলের অধিনায়ক খুব সর্তকতার সঙ্গে ব্যাট চালিয়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত ১৭ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। শাহেদ জলিলও ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে ক্রিজ ছাড়েন। শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত ১২ ওভারের খেলা। দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ৬৪/৫।
৬৫ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামেন দ্যা বুলস্রে বিদেশী খেলোয়াড় লুটাস ও হার্টহিটার ব্যাটসম্যান মো. জুবাইর। লুটাস ৬ রান নিয়ে আরাফাতের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর ক্রিজে আসেন দলের অধিনায়ক মো. ইব্রাহিম। তিনি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। জুবাইর ও ইব্রাহিমের জড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাগপাইয়ের বোলাররা দাঁড়াতে পারছিল না। এই দুইজনের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। দ্যা বুলস্ আট ওভার তিন বল খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। সহজেই লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ টপকিয়ে ম্যাচটি জিতে যায় দ্যা বুলস্।
খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন দ্যা বুলস্রে হার্টহিটার ব্যাটসম্যান জুবাইর। তিনি এক উইকেট ও ব্যক্তিগত ৩৭ রান নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফ এম সুমন ও বেলাল উদ্দিন বিল্লাল।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ। কেপিএল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহেদুল ইসলাম শাহেদের সভাপতিত্বে ও কেপিএল পরিচালনা কমিটির মহাসচিব তানজিমুল ইসলাম জিসাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম সাহাব উদ্দিন ফরাজী স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মেহেদী হাসান ফরাজী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিলখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ ফরিদুল আলম, কেপিএলের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক এস এম হানিফ, চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবু ইউছুফ জয়, সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মিনহাজুল আবেদীন কাদেরী সুমন।
১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল তিনটায় টূর্ণামেন্টের ১০ম খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মুখোমুখি হবে উজানটিয়ার আবদুর রহিমের সোনালী সুপার সিক্সার্স ও শিলখালীর ছৈয়দ আলমের দ্যা বুলস্।
Posted ২:৫১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta