নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৬ জানুয়ারি) :: পেকুয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বৈঠক ডেকেছে ক্ষমতাসীনদল আ’লীগ। সোনালী কার্গোর জমির আধিপত্যকে ঘিরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিন মগনামায় দু’পক্ষ মুখোমুখি হয়েছে। এতে করে দক্ষিন মগনামাসহ সমগ্র মগনামা ইউনিয়নের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ভাড়াটে ও অস্ত্রধারীদের দৌরাত্মে এ ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভেঙ্গে পড়েছে সামাজিক ঐক্য। আইন শৃংখলা অবনতি হওয়ায় জনজীবনে আতংক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে।
লবণ মাঠের দখল ও বেদখলকে ঘিরে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে সংঘাতসহ সংঘর্ষ হয়েছে। পেকুয়া থানায় গত তিন দিনের ব্যবধানে ২ টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। পৃথক মামলায় শতাধিক মানুষ আসামী হয়েছে। ঘর পোড়া ও সাবেক চেয়ারম্যানকে হামলার ঘটনায় এ সব মামলা হয়েছে।
পৃথক ২ টি মামলায় ক্ষমতাসীনদল আ’লীগ ও যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের ২০ জনেরও বেশী নেতা-কর্মী ও সমর্থক আসামী হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় গোলযোগপূর্ন পরিস্থিতিতে এলাকায় চেইন অব কমান্ড স্তবির হয়েছে। পুলিশের ধরপাকড়ে আ’লীগসহ নাগরিক জীবনে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সাধারন মানুষ গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়েছে। লবণ চাষীরা মামলার ভয়ে জমিতে যেতে সাহস পাচ্ছে না।
উৎপাদন ব্যবস্থা হ্রাস পেতে চলেছে। স্থানীয় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে। দক্ষিন মগনামায় আইন শৃংখলার অবনতি ঘটায় যে কোন মুুহুর্তে ফের সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ দিকে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মুখ খুলতে শুরু করেছে স্থানীয় ক্ষমতাসীনদল।
বিশেষ করে দলীয় নেতা-কর্মীরা আসামী হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষে ফেটে পড়ে মুক্তিযোদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ সংগঠন। তারা সৃষ্ট ঘটনায় পরিস্থিতি গভীরভাবে মুল্যায়ন ও পর্যবেক্ষন করছেন। ইউনিয়ন আ’লীগ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জরুরী বৈঠক আহবান করে। দক্ষিন মগনামা কাজী বাজারে ইউনিয়ন আ’লীগ এ বৈঠক ডেকেছে। আজ বুধবার ১৭ জানুয়ারী এ বৈঠক অনুষ্টিত হবে। বিকেল ৩ টার দিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে ইউনিয়ন আ’লীগের সকল নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল এনাম ও সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদ সাবেক মেম্বার জরুরী বৈঠকের এ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানায়, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আ’লীগ দায়ী নয়। ওয়াসিম চেয়ারম্যান ও ইউনুছ দু’জনই আমাদের বিপরীত রাজনৈতিক অনুসারী। এস,আলমের জমি নিয়ে দ্বন্ধ এ দু’জনের। তবে মামলায় আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা আসামী হয়েছে। হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপি তাদের অনুসারীদের দিয়ে ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিএনপি নেতা বাহাদুর শাহ কিছু বিপদগামী লোককে আমাদের দিকে ধাবিত করে ঘটনা তৈরী করছে। আর তাদের অর্থে মামলায় আসামী হচ্ছে আমাদের কর্মী। উপজেলা যুবলীগ পৃথক কর্মসুচীর ঘোষনা দিয়েছে। যুবলীগের ডজন খানেক নেতাকে মামলায় আসামী করায় তারাও রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসুচীসহ প্রতিবাদ সভার ডাক দেয়।
উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক ও সহসভাপতি জিয়াবুল হক জিকু, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন ও সাংবাদিক জালাল উদ্দিন জানায়, আমরা চরমভাবে ব্যথিত ও হতাশ হয়েছি। বিএনপি ও বিএনপির মারামারিতে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে। আ’লীগকে স্তবির করার অপপ্রয়াস। আমরা মনে করি এটি নিকৃষ্ট চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র।
যারা আ’লীগের মিছিলে গুলি ছোড়ে নেতা-কর্মীদের রাজনীতি করতে দেয়নি সে কিভাবে আমাদের দলের হবে? আমরা এ সব বরদাশত করব না। যুবলীগ শেষ হয়ে যায় নি। প্রয়োজনে এ সবের কঠোর জবাব দেয়া হবে।
Posted ১০:০০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta