নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৯ মে) :: পেকুয়ায় ঘুর্নিঝড় ‘মোরা’র পুর্বাভাসে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ঘুর্নিঝড়ের পুর্ব সর্তকতা জানিয়ে উপকুলীয় সমুদ্রবর্তী ইউনিয়ন সমুহে মানুষকে সচেতন করতে সোমবার সকাল থেকে মাইকিং করছেন। একইভাবে ঘুর্নিঝড়ের ক্ষতি লাঘব করতে প্রশাসন জরুরী বৈঠক করেছেন।
সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্টিত হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু ওই সভার সভাপতিত্ব করেছেন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিপিবি, ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কমিটি ও এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এদিকে উপজেলার সমুদ্র উপকুলবর্তী চার ইউনিয়নে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যানগন এসব ইউনিয়নে মাইকিং জোরদার করে।
উপজেলা প্রশাসন ও সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঘুর্নিঝড় মোরার পুর্বাভাসে পেকুয়ায় গতকাল সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশে মেঘমালা দেখা যাচ্ছে। এদিকে আবহাওয়ার পুর্বাভাস সুত্রে জানা গেছে গভীর সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর আধিক্যে বঙ্গোপসাগর ও তীরবর্তী এলাকা সমুহ সাগর উত্তাল রয়েছে। বিচ্ছিন্নদ্বীপ কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও সোনাদিয়া দুর্গম এলাকা সমুহ থেকে লোকজন নিরাপদ স্থানে ছুটে যেতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কুতুবদিয়া থেকে হাজার হাজার মানুষ কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন। মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জানায় মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।
প্রত্যেক সাইক্লোন শেল্টারে মিঠা পানি সরবরাহ দেয়া হয়েছে। সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ জানায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। রাজাখালীর ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু জানায় আমরাও সকাল থেকে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ অব্যহত রাখছি। জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছি।
মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানায় আমার ইউনিয়নে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করিয়ারদিয়াসহ দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিক জোরদার করা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাজ করছি আমরা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু জানায় প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা মনিটরিং টিম হয়েছে।
প্রতিষ্টান সমুহের প্রধান শিক্ষককে স্কুল খুলে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে। সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবার পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ করা হয়েছে। আরো বরাদ্দের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করা হয়েছে।
Posted ৫:১২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta