নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৫ মে) :: পেকুয়ায় চলাচল পথ বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মান নির্মান করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এনিয়ে এলাকাবাসির সাথে তাদের বিরোধ দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ শত বছরের চলাচল পথ রুদ্ধ হয়েছে। এতে করে প্রায় শতাধিক পরিবারের অন্তত এক হাজারের অধিক মানুষ অবরুদ্ধ হয়েছে। চলাচল পথে সীমানা প্রাচীর নির্মান নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
উত্তেজনা প্রশমিত করতে পেকুয়া থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ চলছে উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের লম্বামুড়া এলাকায়।
এ বিষয়ে গ্রামবাসির পক্ষে মৃত.এজাহার মিয়ার ছেলে শামসুল আলম বাদি হয়ে সোমবার পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসআই সরোজ রতন আর্চায্য পরিস্থিতি শান্তিপুর্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্মানকাজ না করতে উভয়পক্ষকে নিদের্শনা দেন। জানা গেছে শিলখালী ইউনিয়নের লম্বামুড়া এলাকায় কসাইদের চলাচলের জন্য একটি পথ শত বছর ধরে উন্মুক্ত রয়েছে।
কাছারী মুড়া ষ্টেশনের নিকট শতাধিক পরিবার চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ পথ। সম্প্রতি লম্বামুড়া এলাকার মৃত.শহর আলীর ছেলে মাহমুদুল করিম, রেজাউল করিম, আবুল কালামের ছেলে নুরুন্নবী এ পথ রুদ্ধ করার চেষ্টায় মেতেছে। তারা বাড়ির সীমানা পৃথক করতে এ পথে পাকা দেয়াল তৈরির কাজ শুরু করে।
জানা গেছে শামসুল আলম, আব্দু মালেক, আব্দু খালেক, মোস্তাক আহমদ, আলী আহমদ, জাফর আলম, নুরুল ইসলাম, ইউনুসসহ শতাধিক পরিবার ওই পথ দিয়ে চলাচল করে থাকে। প্রভাবশালী ওই চক্র এসব পরিবারের চলাচল পথ রুদ্ধ করে নির্মান করছেন পাকা দেয়াল।
স্থানীয় নুরুল হোসেন, মহিউদ্দিন, আহমদ কবির, শাকেরা বেগম, সোনা বিবি, মরিয়ম খাতুন জানায় এ পথ বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের বসবাস করা যাবেনা। বাপ-দাদারা এ পথ দিয়ে চলাফেরা করছেন। কিন্তু হঠাৎ তারা ইট এনে দেয়াল তৈরির কাজ শুরু করে। চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি নিষেধ করছিলেন।
এরপরেও জোর করে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী মিনা আকতার, কলি আকতার, ডেজি, সালমা, নিশু, শাকিল, আরাফাত জানায় দেয়াল নির্মান কাজ চলায় গতকালের বৃষ্টিতে পথে হাটু পরিমান পানি ও কাদা জমেছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে যাব। এটি আমাদের একমাত্র চলাচল পথ।
Posted ১০:১৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta