নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১ জুন) :: পেকুয়ায় দুবৃর্ত্তের চুরিকাঘাতে গুরুতর আহত নুরুজ্জামান(৪৫) এর অবস্থা সংকটাপন্ন। গত ৫ দিন ধরে তিনি চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। ওই হাসপাতালের আইসিওতে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় তার জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।
জীবন বাচাতে তার রক্তের প্রয়োজন ছিল। রক্তস্বল্পতার খবর তার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মানবতাবোধ ব্যক্তিবর্গ তার শরীরে রক্তের যোগান দিতে অনেকেই চমেকে যান। গত রবিবার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী গ্রামে চুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম হন ওই এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে নুরুজ্জামান (৪৫)।
স্থানীয়রা জানান, ওই দিন সকালে নুরুজ্জামান নিজ বাড়ি থেকে বারবাকিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভারুয়াখালী তিন রাস্তার মোড় পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার আহমদ ছফার ছেলে রুবেলের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে চুরিকাঘাত করেছে।
এ সময় তার ছেলে সুমন ঘটনাস্থলে এসে পিতাকে উদ্ধার করেছে। এ দিকে চুরিকাঘাতের ঘটনায় ভারুয়াখালীতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে ভারুয়াখালীতে দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ তৈরী হয়েছে। প্রবাসী দিদার ও রুহুল আমিনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত এক মাস আগে রুহুল আমিন ও দিদারের মধ্যে মারপিঠ হয়। এ সময় দিদার আহত হয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রুহুল আমিনকে মারপিঠ করাতে দিদার একই এলাকার আহমদ ছফার ছেলে রুবেলকে টাকা দেয়। ওই দিন দিদার ও রুবেল মিলে রুহুল আমিনকে ওই স্থানে মারধর চালায়। এ সময় নুরুজ্জামান এসে রুবেল ও দিদারকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল নুরুজ্জামানকে তলপেটে চুরিকাঘাত করে।
স্থানীয়রা জানায় ওই ঘটনায় রুহুল আমিনের ছেলে ফোরকান, শাহ আলমের ছেলে মানিক, আহমদ ছবির ছেলে মানিক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নন। কিন্তু একটি মামলাবাজ চক্র ঘটনায় তাদেরকে জড়িয়ে দেওয়ায় চেষ্টা করছে। এদের দুইজন প্রবাসী। তারা সম্প্রতি দেশে এসেছেন। তাদেরকে ঘায়েল করার চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে নুরুজ্জামানের ছেলে সুমন জানায়, দিদার ও রুবেল আমার বাবাকে চুরি মেরেছে। তার অবস্থা কঠিন। এখন হুশ জ্ঞান নেই।
Posted ১০:৩৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy