প্রেস বিজ্ঞপ্তি(৯ জানুয়ারি) :: পেকুয়ায় দু’সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এ মামলাটি কক্সবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ৮ জানুয়ারী সোমবার দায়ের করা হয়।
উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গা পাড়ার মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম বাদী হয়ে নালিশি এ অভিযোগ দায়ের করে।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন ও যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক জালাল উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত নালিশি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে সরেজমিন যাচাই বাছাই ও তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়েছে ওসি পেকুয়া থানাকে। তোফাজ্জল করিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও মানহানির অভিযোগ উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে তিনি আইনী প্রয়োগ প্রত্যাশী।
এদিকে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার রিপোর্টার সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন ও দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকার পেকুয়ার ষ্টাফ রিপোর্টার পেকুয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক জালাল উদ্দিনকে মামলায় জড়ানো হয়েছে এ সংবাদ পেকুয়ায় জানাজানি হয়।
মামলার এ খবর স্থানীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সর্বত্রে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে। রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক পর্যায়ে এর নীতিবাচকভাব প্রকাশ পায়।
বিশেষ করে সুশীল সমাজ ও সর্বস্তরের মানুষ মামলার এ খবরে বিচলিত অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। তারা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ ও ব্যথিত হয়েছেন। অনেকে দু:খ ও ঘৃণা প্রকাশ করে সরাসরি এ সম্পর্কিত বিষয়ে মুখ খোলতে বাধ্য হন।
পেকুয়াবাসী এ মামলাকে নিছুক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বলে মত প্রকাশ করেছেন। তারা জানায়, সমাজে আলোর দর্পন মিড়িয়া। তারা অন্ধকার সমাজ ব্যবস্থাকে আলোকিত করে। ব্যভিচার নির্যাতন আধিপত্যবাদ এ সবের বিরুদ্ধে সংবাদ কর্মীরা লিখতে থাকেন।
একইভাবে দখলবাজ,মামলাবাজ ও ধান্ধাবাজদের মুখোশ উম্মোচিত করাও সাংবাদিকদের নৈতিক কাজ। কিছু নোংরা চরিত্রের মানুষ পেকুয়ার সমাজ ব্যবস্থাকে পতনের দিকে টানছে। তারা বিভিন্ন চলে কৌশলে মানুষকে জিম্মী করে সর্বত্রে ধান্ধাবাজী সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার চক্রান্ত করছে।
এ সবের বিরুদ্ধে কলমসৈনিকরা অত্যন্ত সোচ্চার। এরই ধারাবাহিকতায় এ সব কুচক্রীমহলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু বস্তুনিষ্ট সংবাদ ও সচিত্র কিছু পোস্ট করা হয়েছে।
এ সবে ইর্ষান্বিত হয়ে তোফাজ্জল করিম পেকুয়ার কর্মরত এ দু’জন সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ফাঁসানো অভিযোগ উত্তাপন করে। আমরা মনে করি এ টি সমাজ ব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত। এমনকি সাংবাদিকদের স্বচ্ছ মতামত ও লেখনিকে স্তব্দ করার অপপ্রয়াস। আমরা এ ধরনের মামলায় চরম হতাশাবোধ করছি। মামলার খবর জানাজানি হলে পেকুয়ায় সাংবাদিকরা এ সম্পর্কিত বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা উপরোক্ত মন্তব্য ও মতামত ব্যক্ত করেছেন।
সাংবাদিকরা হলেন সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম( দৈনিক নয়াদিগন্ত ও আজাদী), সাংবাদিক মোহাম্মদ হাসেম( দৈনিক সাঙ্গু ও দৈনিক কক্সবাজার), সাংবাদিক দিদারুল করিম(দৈনিক পূর্বদেশ ও কক্সবাজার বানী), সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন(দৈনিক কর্ণফুলী ও ইনানী), সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন(দৈনিক মানবজমিন ও ইনানী), সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসাইন সুজন(ভোরের কাগজ ও রুপসী গ্রাম), সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু(দৈনিক গণসংযোগ), রেজাউল করিম(দৈনিক সকালের কক্সবাজার), এম, আবদুল্লাহ আনসারী(দেশ বিদেশ), এম জোবাইদ(দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ), সাংবাদিক ফারুক( দৈনিক যায় যায় দিন ও বাঁকখালী), এফ,এম সুমন( দেশ বিদেশ) প্রমুখ।
Posted ১:০৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta