নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৯ মে) :: পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়নের টেকপাড়া-ঢেমুশিয়া পারাপার ঘাটে যাত্রী ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌ-পারাপারে ইজারাদার যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করছেন অতিরিক্ত টাকা। এতে করে চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ও পেকুয়া উপজেলা উজানটিয়া ইউনিয়নের শতশত লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। নৌ-পারাপারের অন্যতম মাধ্যম মাতামুহরী চ্যানেলের পারাপার এ ঘাটটি। ইজারাদার সরকারি নীতিমালা বর্হিভুত নৌ-পারাপারের সময় হাতিয়ে নিচ্ছেন অধিক টাকা।
জানা গেছে চলতি অর্থ বছরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দু’উপজেলার পারাপার ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া এলাকার জাকের আহমদের ছেলে জিয়াবুল হোসেন পাটনি হিসেবে ওই ঘাট ইজারা নেন জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভাগ থেকে। নিয়ম রয়েছে পারাপার ঘাটে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে দু’মোকামে অনুসারিকা টাঙ্গানো। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ক্রমে যাত্রী ও মালামাল পারাপারে নির্দেশিকায় আদায়ের মুল্য তালিকা নিশ্চিত করা হয়।
কিন্তু ঢেমুশিয়া ও উজানটিয়া পারাপার ঘাটে এসব নিয়ম মানা হয়নি। জানা গেছে সরকারি নিদের্শ আছে প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে পারাপাওে দু’টাকা হারে টাকা নিবেন। অভিযোগ উঠেছে বর্তমানে ওই ঘাটে জনপ্রতি দশ টাকা হারে আদায় চলছে। মালামাল পারাপারের সময় দ্বিগুন-তিনগুন টাকা নিচ্ছেন ইজারাদার। এ নিয়ে যাত্রীদেও সাথে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে একাধিক।
এদিকে যাত্রী হয়রানি লাঘব করতে চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের ১নং ব্লকের বাসিন্দা মাষ্টার আব্দুল জলিলের ছেলে নাজেম উদ্দিন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত দু’দিন আগে ইজারাদারকে অভিযুক্ত করে এ অভিযোগটি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইজারাদার জিয়াবুল হোসেনের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি। উজানটিয়ার ইউপি সদস্য জয়নাল উদ্দিন হাজারী জানায় অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি এলাকার লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। আমি ঘাট যিনি চালান তাকে টাকা অতিরিক্ত না নিতে বলেছি।
Posted ৫:২৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta