নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৪ আগস্ট) :: পেকুয়ায় মই দিয়ে জমির ফসল গুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। ভোরে কৃষকের জমিতে অনুপ্রবেশ করে প্রতিপক্ষ। এ সময় জমির আমন ধান বিনষ্ট করে তারা। ওই ঘটনার জের ধরে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। জমির বিরোধ ছিল দু’পক্ষের। স্থিতি নিশ্চিত রাখতে একটি পক্ষ আদালতে ১৪৪ ধারা আদেশের জন্য একটি এমআর মামলা করে।
বিজ্ঞ আদালত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কেন ১৪৪ ধারা রুলনিশি জারী করা যাবে না মর্মে আদেশ দেন। এ দিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে বিবাদীপক্ষ বিরোধপূর্ন জমিতে অনুপ্রবেশ করে।
তারা উত্তেজিত হয়ে ৪০ শতক জমির আমন ফসল গুড়িয়ে দেয়। অভিনব পদ্ধতিতে ওই ফসল বিনষ্ট করতে তারা মই মাড়াই করে ধান ক্ষেতে। এতে করে ৪০ শতক জমির উঠতি আমন ফসল সম্পূর্ন বিনাশ করে।
২৪ আগস্ট ভোর ৬ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকায়।
জানা গেছে, ৪০ শতক জমি নিয়ে আলী আহমদ গং ও আবদু রহিম গংদের বিরোধ চলছিল। আবদু রহিম গং ওই জমি আলী আহমদ গংদের কাছ থেকে ক্রয় করে।
জায়গার যাবতীয় দলিল দস্তাবেজ ও কাগজপত্র আবদু রহিম গংদের অনুকুলে। জমিও খরিদা পক্ষ ভোগ করছে। গত কয়েকমাস আগে থেকে জমি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে আলী আহমদ গং। তারা কু মানসে ওই জমির প্রতি লোলুপ দৃস্টি দেয়। আবদু রহিম গংদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করতে তারা প্রচেষ্টা চালায়। এরই সুত্র ধরে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে একাধিকবার জমিতে অনুপ্রবেশ চেষ্টা চালায়।
গত ১৫ বছর আগে জমি কিনে আবদু রহিম গং। তারা দখল পেয়ে সন সন ফসল উৎপাদন করছে জমি থেকে। চলতি আমন মৌসুমে মালিকপক্ষ জমিতে ফসল ফলায়। জমিতে আমনের সবুজের সমারোহ দৃষ্টিনন্দন। এ দিকে খরিদাপক্ষ জবর দখল ঠেকাতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা দায়ের করে। যার নং ১৫২। মামলাটি ১৪৫ ধারায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞ আদালত কেন ১৪৪ ধারা ফৌজধারী কার্যবিধি গ্রহন করা যাবে না এ মর্মে আদেশ দেন। আদেশের একদিন পর বাদীর জমিতে ফসল তান্ডব চালায় বিবাদীপক্ষ। তারা বিচার ব্যবস্থা ও আদালতের রায়কে বরখেলাপ করেছে।
এ ব্যাপারে কৃষক জানায়, ফসল মই দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে একই এলাকার আলী আহমদ, সুলতান আহমদসহ ৫/৬ জন। আমি এর বিচার চাই। দোষ করলে মানুষ করতে পারে। কিন্তু ফসলের কি দোষ? তারা আদালতের আদেশ প্রত্যাখান করেছে।
Posted ১০:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta