নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩০ ডিসেম্বর) :: পেকুয়ায় বনের রাজাসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা পেটালেন প্রবাসীকে। এ সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ওই প্রবাসীকে জখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া সওদাগর হাটে এ ঘটনা ঘটে। জখমী ব্যক্তির নাম ফরিদ আলম(৫৫)। তিনি বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাটামুরা এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসীরা ফরিদুল আলমের ছেলে আমজাদকে(১৬) পিটিয়ে আহত করে। তার হাত গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন সকালে প্রবাসী ফরিদ আলম বাড়ি থেকে বারবাকিয়া বাজারে আসে। জসিম উদ্দিনের কুলিং কর্ণারে চা নাস্তা করছিলেন।
এ সময় বনের রাজাখ্যাত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম তার ভাই বহু মামলার আসামী অস্ত্রধারী আলমগীরসহ ১০/১২ জন দুবৃর্ত্তরা কমান্ডো স্টাইলে বাজারে এসে কুলিং কর্ণার থেকে ফরিদকে অপহরন চেষ্টা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে ভীতি ছড়ায়। এ সময় ফরিদকে তুলে নিতে চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে টানা হেচড়া করছিল।
এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় জাহাঙ্গীরসহ উত্তেজিত লোকজন প্রবাসী ফরিদুল আলমকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পিতাকে উদ্ধার করতে তার ছেলে আমজাদ এগিয়ে যান।
এ সময় তাকেও পিটিয়ে হাত গুড়িয়ে দেওয়া হয়। আমজাদকে চকরিয়া অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক বরাবর রেফার করা হয়েছে।
আশেক নামের এক গ্রাম্য চিকিৎসক জানায়, একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আমরা এগিয়ে এসে ফরিদকে উদ্ধার করেছি।
প্রবাসী ফরিদ জানায়, বালু পাচার করছিল বনের রাজা জাহাঙ্গীর ও তার ভাই ডাকাত আলমগীর। আমার বসতভিটা তলিয়ে যাচ্ছিল সড়ক গর্তে ভরপুর হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। সেটি কাল হয়েছে। আমাকে মেরে ফেলতে ডাকাতরা অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে অপহরন চেষ্টা চালায়।
জাহাঙ্গীর জানায়, বাজারে কথাকাটাকাটি হয়েছে। মারধর করা হয়নি। আমার এক নিকটাত্মীয়কে তারা জখম করে। তার নাম গিয়াস উদ্দিন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গিয়াস উদ্দিনের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল ফরিদের ছেলে। ফরিদকে তার ছেলের বিচার দিতে গিয়েছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালায় মেয়েপক্ষকে।
Posted ১:১৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta