নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৬ জানুয়ারি) :: পেকুয়ায় বিলুপ্তির পথে হাজী বাজার-সোনাইছড়ি ঢালারমুখ সড়ক। টইটং ইউনিয়নের গ্রামীন অবকাঠামোর এ প্রধান সড়কটি গত কয়েক বছরের ব্যবধানে অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে চলে গেছে। পাহাড়ী ছড়া থেকে উত্তোলিত হচ্ছে বালি। প্রতিদিন এ সব বালি পরিবহন হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে।
উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজী বাজার ও পূর্ব সোনাইছড়ি সড়ক বর্তমানে চলাচল অযোগ্য। সড়কটির অর্ধেক অংশে ব্রীক সলিং দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বিগত ১৯৯৯ ও ২০০০ সাল অর্থবছরের দিকে সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন করে।
হাজী বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার মাঝেরপাড়া পর্যন্ত ব্রীক সলিংয়ের আওতায় আসে। অবশিষ্ট আরও এক কিলোমিটারেরও অধিক পূর্বদিকে সোনাইছড়ি ঢালার মুখ পর্যন্ত কাঁচা থেকে যায় সড়কটি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সড়কটি উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এরই মধ্যে সোনাইছড়ি ছড়া থেকে উত্তোলন হচ্ছে বালি। পাহাড়ি প্রবাহমান ওই ছড়ায় প্রায় ৮-১০ টি পয়েন্টে বালি মহাল আছে।
পাহাড়ের সরু ও উচু নিচু অববাহিকা অতিক্রম করে পিকআপ ও পরিবহন যোগে প্রতিদিন বালি পাচার হচ্ছে। সরকারের খনিজ সম্পদ বিভাগ নির্দিষ্ট স্থান থেকে বালি উত্তোলন করতে সোনাইছড়ি ছড়া লীজ দেয়। তবে অসাধু বালুখেকো সিন্ডিকেট ছড়ার সব পয়েন্ট থেকে উত্তোলন করছে বালি। বালি পরিবহনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম সোনাইছড়ি সড়ক।
অধিক বালি পাচার ও ভারী যানবাহন চলাচল থাকায় সড়কটি চলাচল অযোগ্য প্রায়। মাটি অংশে ধেবে গেছে সড়কের দু’পাশ। আবার ব্রীক সলিং অংশে নেই কোন ইট। সড়কের অর্ধেক অংশ ইট না থাকায় প্রায়শ কাঁচা সড়কে রুপান্তরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শন করা হয়। এ সময় খানা খন্দকসহ সড়কটির সচিত্র প্রতিবেদন তৈরী ছবি ধারন করা হয়েছে। দেখা গেছে শফি আলমের দোকান ও মাঝেরপাড়া মসজিদের পশ্চিম অংশে সড়কটি করুন অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। স্কুল গামী শিশুরা সড়ক দিয়ে পায়ে হেটে বাড়িতে পৌছছিলেন।
জানতে চাইলে রমিজপাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন জানায়, যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বালি পাচার থামাতে হবে। এ সড়কটি রমিজপাড়া,ঢালার মুখ, শনখোলার জুম, মধুখালী, সংগ্রামের জুম, হারকিলার ধারাসহ সমতলভাগ ও পাহাড় অঞ্চলে যাতায়াতে জনগোষ্টীর অন্যতম চলাচল মাধ্যম। এটিকে জরুরী সংস্কার করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায়, টইটং ইউপির সদস্য নবী হোসাইন প্রকাশ নবু মেম্বার, তার ছেলে খোকন ও রোবেল এ সড়ক দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বালি পরিবহন করছেন। বালি ব্যবসা সোনাইছড়ি ছড়ায় নবু মেম্বারের পরিবারের নিয়ন্ত্রনে। তারা গ্রামীন সড়কটি অধ:পতনে দায়ী।
Posted ৯:৫২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta